বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যান, তার সম্বন্ধী ও শ্যালোকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ এনে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে বৃহস্পতিবার জামিলা বেগম নামের এক গৃহবধূ মামলা করলে আদালত আমলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন। তাছাড়া পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কাছে জামিলা বেগম নামের ওই গৃহবধূ এ লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ সুপার অনুসন্ধান পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাউফল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার ও অভিযোগে জামিলা বেগম উল্লেখ করেন, সূর্যমনি ইউনিয়নের পশ্চিম ইন্দ্রোকুল গ্রামে তার বাড়ি। স্বামীর নাম মৃত এসমাইল হোসেন। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। তিনি বাড়িতে একটি পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, তার শ্যালোক, আনিচুর রহমান ও সম্বন্ধী আলমগীর হোসেনসহ ৮জন গত ২৪ মার্চ বাড়িতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দেয়ায় তার পুত্রবধূ রিপা আক্তারকে বেধরক মারধর করে স্বর্ণালংকারসহ নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি ২ এপ্রিল বাউফল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং আসামী আনিচ, অভি ও আলমগীর বাউফল থানায় উপস্থি হয়ে পুলিশের সামনে বলেন, ‘থানা আমরা ভয় পাইনা’ পুলিশ আমাদের পক্ষে। অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও তার শ্যালোক আনিচ ও সস্বন্ধী আলমগীর বাহিনীর হাতে সূর্যমনি ইউনিয়নের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। এই বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। এই বাহিনীর হাতে ইতিপূর্বে এলাকার অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, ফয়সাল হোসেন, মাহাবুব আলম, মাওলানা ফোরকান, জহির উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন মেম্বার ও অ্যাডভোকেট কেএম রেজাউল করিম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই বাহিনীর অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় সাহাবুদ্দিন মেম্বার বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সিআর ১৪১/২১, সিআর ১৪২/২১সহ থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। এ লিখিত অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কোন বাহিনী নেই। আমার ছেলে ঢাকায় থাকে। সাহাবুদ্দিন মেম্বার ঘর ছাড়া হয়নি। গতকালও (বৃহস্পতিবার) তিনি বাড়ি ছিলেন। তার স্ত্রী নিয়ে সকালে বাউফল গেছেন। একটি মহল আমার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
Leave a Reply