শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বৃদ্ধার ভিজিডি কার্ড নিয়ে গেলেন ইউপি সদস্য॥ জিডি

বৃদ্ধার ভিজিডি কার্ড নিয়ে গেলেন ইউপি সদস্য॥ জিডি

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার সদর উপজেলার পূর্ব-ইলিশা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কামাল মিয়ার বিরুদ্ধে এক হতদরিদ্র নারীর নামে বরাদ্দ হওয়া দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ড নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুস্থ নারী মানসুরা বেগম কার্ড ও বরাদ্দের দাবিতে গত রোববার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য কামাল বুধবার ভিজিডির চাল তুলে ৪ বস্তা (২০০ কেজি) চাল ওই দুস্থ নারীর বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে বাড়ির পাঁচ পরিবারকে ওই চাল ভাগ করে নিতে বলেন তিনি। কিন্তু মানসুরা চাল গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ওই বৃদ্ধা মানসুরাকে গালমন্দ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভোলা জেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, যাঁর নামে কার্ড বরাদ্দ হয়েছে, নীতিমালা অনুসারে তিনিই চাল পাবেন। এক কার্ডের চাল কয়েকজনের পাওয়ার কিংবা জনপ্রতিনিধির কাছে কার্ড রাখার কোনো নিয়ম নেই। তাঁরা ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মানসুরা বেগম বলেন, তিনি সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘারহাওলা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী মো. জামাল উদ্দিন দিনমজুর। তিনি গত বছর ডিসেম্বর মাসে অনলাইনে ভিজিডির কার্ডের জন্য আবেদন করেন। তিনি শুনেছেন, তাঁর নামে ভিজিডির কার্ড বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু ইউপি সদস্য কামাল কার্ড না দিয়ে তাঁর কাছে রেখে দিয়েছেন এবং জানুয়ারি থেকে চাল তুলছেন। তিনি ইউপি সদস্যের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চান। কিন্তু ইউপি সদস্য ‘জানি না’, ‘তোরে কে কইছে’ বলে সত্যতা আড়াল করেন। পরে মানসুরা নিশ্চিত হয়ে ১১ এপ্রিল কার্ড হারিয়েছেন বলে থানায় জিডি করেন। মানুসরা আরও জানান, বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পাশের বাড়িতে ছিলেন। এমন সময় ইউপি সদস্যের লোকজন চার বস্তা চাল এনে বাড়ির দরজায় রেখে দিয়ে বাড়ির সবাইকে ভাগ করে নিতে বলেন। মানসুরা চাল রাখতে চাননি। তবুও তাঁরা রেখে গেছেন। কারণ, চালের হকদার মানসুরা নিজেই। কেন সবাইকে ভাগ করে দেবেন? এ ছাড়া তাঁর বাড়িতে তাঁর চাচাশ্বশুর, দেবর, ভাশুরসহ পাঁচটি পরিবার থাকে। কিন্তু চাল দেওয়া হয়েছে চার বস্তা। জানতে চাইলে ইউপি সদস্য কামাল বলেন, ‘ঘটনা হচ্ছে, আমার ওয়ার্ড থেকে ২৫ হতদরিদ্র ব্যক্তিকে দিয়ে ভিজিডির জন্য আবেদন করিয়েছি। কিন্তু চেয়ারম্যান ওই ২৫ জনের মধ্য থেকে ১০ জনের নামে কার্ড বরাদ্দ দিয়েছেন। অন্য মেম্বাররা একটা কার্ড ৮ হাজার বা ৯-১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আমি কার্ড বেচাবেচির মধ্যে নেই। আমি করি কী, কার্ডগুলো আমার কাছে রেখে দিই। পরে তিন-চার মাসের চাল একত্র করে গরিব হতদরিদ্র ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে দিই। একজন একটি ভিজিডির কার্ডে ২৪ মাস চাল তুলে আরাম-আয়েশে দিন কাটাবেন; আরেকজন অভাবে, অনাহারে দিন কাটাবেন, কারও কাছে হাত পাততেও পারবেন না। তা-ই কি হয়! হক সবারই আছে।’ ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com