আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের কর্মচারীরা পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা ও মার্চ মাসের বেতন না পেয়ে পবিত্র রমজান সাসে অর্থ কস্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেতে তাদের তথ্য এন্ট্রি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরীর অন্যান্য কাগজ, বয়সসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়ায় যথাসময়ে তথ্য এন্ট্রি করতে পারেননি তারা। তথ্য এন্ট্রি করতে না পারায় হাসপাতালের স্টোরকিপার শাহ আলম, পরিসংখ্যান শহিদুল ইসলাম, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ইপিআই মিজানুর রহমান, স্যানিটারী ইন্সেপেক্টর সুকলাল সিকদারসহ অফিস সহায়ক, আয়া, ওয়ার্ডবয়, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, পিয়ন ও ড্রাইভারসহ ২০জন কর্মচারী মার্চ মাসের বেতন ও পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা না পাওয়ায় রমজান মাসে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থকস্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, তাদের ফরম পুরণের জন্য ৫মাস পূর্বে প্রথমে দুই শত টাকা করে নেন হাসপাতালের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান সিকদার। কিন্তু ফরম পুরণের সময় তিনি ভুল করায় এখন মাশুল গুনতে হচ্ছে কর্মচারীদের। মিজানুর রহমানের ভুলের কারণে পরবর্তিতে মার্চ মাসের প্রথমে দ্বিতীয় বার পাঁচশত করে টাকা নেন অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাস। দু’দফায় টাকা দেয়া সত্বেও মার্চ মাসের বেতন ও পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা না পাওয়ায় অর্থ কস্টে পরিবার স্বজনদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন কর্মচারীরা। দু’দফায় টাকার নেওয়ার ব্যাপারে অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাস বলেন, যে ব্যক্তি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) করে দেন তাকে খরচ বাবদ ওই টাকা দিতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, কার্যক্রমটি নতুন শুরু হওয়ায় কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন ও পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা বন্ধ থাকার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন ও পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা বন্ধ থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বিষয়টি শিঘ্রই সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
Leave a Reply