স্টাফ রিপোর্টার ॥ লকডাউনের তৃতীয় দিনেও বরিশাল নগরে জরুরি পরিসেবার যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। তবে ব্যক্তিগত বাহন চালাতে গিয়ে গতকালও পুলিশের বাধার মুখে পরছে অনেকেই। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অনেককেই গুনতে হয়েছে জরিমানা। কারণ নগরজুড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চেকপোস্টের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস দাস ও নিরুপম মজুমদার নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পাঁচ ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে প্রথম দিনের থেকে গতকাল ও গতকাল নগরজুড়ে ব্যাটারি ও প্যাডেল চালিত রিকশার আধিক্য কয়েকগুণ বেশি ছিল। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের চলাচলও বেড়েছে সড়কে। ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বাহিরে বের হওয়া নাগরিকদের পুলিশি জিজ্ঞাসার মুখে নানান অযুহাতের কথা বলতে শোনা গেছে। আবার অনেকে মোটরসাইকলের ওপর ভুয়া জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছেন। তবে ধরা খেয়ে তার পক্ষে সাফাই গেয়েই পার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন লকডাউনে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীরা। এর বাইরে সকালে থেকে ওষুধ ও মুদি দোকান ছাড়াও নানা ধরনের দোকান আংশিক খোলা রাখতে দেখা গেছে। তবে লকডাউনে উপেক্ষা করে জরুরি পরিসেবা ব্যতীত এসব দোকান খোলা রাখা হলে, পুলিশের গাড়ি কিংবা সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখলে বন্ধ করে দেয়। চরকাউয়া খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে খেয়াঘাট থেকে অবাধে ট্রলারে যাত্রী বোঝাই করে পাড়াপাড় করছে মাঝিরা। তবে বরিশাল নগরের এ দৃশ্য হলেও উপজেলাগুলোতে লকডাউন কার্যক্রম অনেকটাই কঠোর ছিল। নগর পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
Leave a Reply