মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
শেবাচিমের করোনা ইউনিটের বর্জ্য ভাঙারির দোকানে

শেবাচিমের করোনা ইউনিটের বর্জ্য ভাঙারির দোকানে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পরেছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাস্ক, গ্লোভস, সিরিঞ্জসহ প্লাস্টিকের নানান বর্জ্য হাতবদল হয়ে যাচ্ছে ভাঙারি দোকানে। যা আবার পরিবহন করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানের ক্রেতার কাছে। এতে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একে অপরকে দুষছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র বলছে, বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব হাসপাতালের। আর হাসপাতাল বলছে, নগর কর্তৃপক্ষের। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও সেবা দানকারী সংস্থার মধ্যে রশি টানাটানির মধ্যে নগরীতে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরো বরিশাল বিভাগের চেয়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় রোগী শনাক্ত হচ্ছে প্রায় চারগুণ। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সমাধান না হলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের করোনা ইউনিট ভবনের সামনে কয়েক টন বর্জ্য স্তুপ করে রাখা। এরমধ্যে রয়েছে করোনা রোগীদের ব্যবহার করা গ্লোভস, মাস্ক, বিছানার চাদর, সিরিঞ্জ, পানির বোতল, রোগীর পোশাকসহ নানান প্লাস্টিক সামগ্রী। হাসপাতালের স্টাফ ক্যান্টিনের পেছনেও রয়েছে এমন বর্জ্য। ষাটোর্ধ্ব রহিম মিয়া করোনা ইউনিটের সামনের বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। তার সাথে নেই কোনো সুরক্ষা সামগ্রী, মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই তার। করোনা ইউনিটের এসব বর্জ্য তিনি কেন সংগ্রহ করছেন জানতে চাইলে রহিম মিয়া বলেন, এহান দিয়া প্লাস্টিকের বোতল, কাগজ আরও অনেক কিছু লইয়া ভাঙারির দোকানে বেচি। যে ভাঙারির দোকানে তিনি এসব বর্জ্য বিক্রি করেন, কথা হয় সে দোকানের এক কর্মচারীর সাথে। তারা বলেন, গ্লোভস ও প্লাস্টিক-জাতীয় জিনিসগুলো কিনে নিয়ে তা পূর্ণরায় ঢাকার কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করা হয়। ক্রেতা বা প্রতিষ্ঠানের নাম কী এমন প্রশ্নে তারা বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি। পাওয়া যায়নি দোকান মালিককেও। অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহ করে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু গতবছর হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করার পর থেকে সিটি কর্পোরেশন বিনা ঘোষণায় বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক বাকির হোসেন জানান, হঠাৎ কেন বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়া হলো, কেনই বা চালু করছে না, তা একাধিকবার জানতে চাইলেও সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তারা শুধু জানিয়েছে, হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য সংগ্রহ ও ধ্বংস করতে হবে। এরপর থেকেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিপাকে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সদ্যযোগদান করা হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের এসব বর্জ্য অপসারণ করার কথা। কিন্তু তারা তা করছে না। বর্তমানে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে আমরা মাটি খুঁড়ে বর্জ্যগুলো চাঁপা দেয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ও করোনা ইউনিটে এখন রোগী বাড়ায় টনের পর টন বর্জ্য সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৌরভ সুতার বলেন, এমনিতেই হাসপাতালের বর্জ্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তা যদি হয় করোনা আক্রান্ত রোগীর, সেগুলোতো আরও মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব বর্জ্য পুড়িয়ে বা মাটিচাঁপা না দিলে যে কেউ সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। এ ব্যাপারে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। মেডিক্যালের বর্জ্য মেডিক্যালেই ধ্বংস করতে হবে। ওই বর্জ্য নিয়ে বর্জ্যের গাড়িগুলো সারা নগরীতে ঘুরে নগরবাসীকে হুমকির মধ্যে ফেলবে আমি তা হতে দেবোনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টার কথা জানিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু শের-ই-বাংলা মেডিক্যালই নয়; এখন সদর জেনারেল হাসপাতালের বর্জ্যও নিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ করবে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু সেটা করা হচ্ছেনা। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার একটি অনলাইন বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হয়। সেখানে ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার, সিটি মেয়র ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। ওই বৈঠকেও সিটি মেয়র সরাসরি বলেছেন, তিনি বর্জ্য নিতে পারবেন না। বর্জ্য নিলে তার কর্মীরা আক্রান্ত হবে। এখন কর্পোরেশন বর্জ্য না নিলে কী করার আছে। সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com