নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বরিশালে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২০৮ জন। এনিয়ে বরিশালে মৃত্যুর সংখ্যা ২৪২ এবং আক্রান্ত ১৩ হাজার ৩৩৭ জন। রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এমন তথ্য দিয়ে বলছে, তিনজন মৃত্যু ও শতাধিক আক্রান্তের পরিসংখ্যাটি গত ২৪ ঘণ্টার। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ১০০ জন। এরপর ঝালকাঠিতে ২৯ জন, পটুয়াখালীতে ২৮ জন, ভোলায় ২৩ জন, পিরোজপুরে ২১ জন এবং বরগুনায় সাত জন। উল্লেখ্য করা যেতে পারে, বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম ২০২০ সালের ৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ফেরত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার এক শ্রমিকের প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। গত ১৩ মাসে বিভাগটিতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৩৭ জন। এরমধ্যে সর্বোচ্চ বরিশালে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪ জন, এরপর পটুয়াখালীতে এক হাজার ৯৯৯ জন, ভোলায় এক হাজার ৫২১ জন, পিরোজপুরে এক হাজার ৪৬৫ জন, বরগুনায় এক হাজার ১৬২ জন এবং ঝালকাঠিতে এক হাজার ১১৬ জন। এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৩০ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে বিভাগটিতে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ২৮ জন। আর বিভাগটিতে করোনা আক্রান্ত দুই হাজার ৩০৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে কিছু রোগী হাসপাতালে ও অন্যরা নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন। বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ২৪২ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন বরিশাল জেলায় ১০৩ জন। এরপর পটুয়াখালীতে ৪৭ জন, পিরোজপুরে ২৯ জন, ঝালকাঠিতে ২৩ জন, বরগুনায় ২২ জন ও ভোলায় ১৮ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা শহীদুল (৪৮), বরিশাল নগরের নবগ্রাম রোড এলাকার বাহাউদ্দিন গাজী (৭০) এবং রুপাতলী এলাকার সানজিদা রহমানের (৫০) মৃত্যুবরণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বরিশাল বিভাগে সংক্রমণের হার কম থাকলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বেশি। এ অবস্থায় শুধু করোনার টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’