দখিনের খবর ডেস্ক ॥ এখন ঘরে বসেই যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন ও সিট বুক করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার্থে ‘জলযাত্রা’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ই-টিকিটিং প্রতিষ্ঠান জলযাত্রা লিমিটেড। ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, আমতলী, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া, ভোলা, ইলিশা ও চরফ্যাশন নৌরুটের ৩০টির বেশি লঞ্চের টিকিট অনলাইনে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি অন্য লঞ্চগুলো শিগগিরই এ সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। টিকিট কাটার জন্য গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর সাইন-আপ অপশনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এ অ্যাপের মধ্যে রিভার সাইটের কেবিন ও সিটসহ নির্ধারিত অর্থ দৃশ্যমান। অ্যাপটির মাধ্যমে একজন যাত্রী একাধিক টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে। তাই যাত্রীরা তাদের পছন্দমতো বুকিং করতে পারবে। টিকিটের টাকা দেওয়া যাবে বিকাশ, নগদ, মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। এছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে বুকিংকৃত কেবিন ও সিট বাতিল পূর্বক টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টিও ঝামেলাহীন। জলযাত্রা অ্যাপের সেবার আওতাধীন লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কাছে লঞ্চ এখন জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে আমরা মোট টিকিটের ২০ শতাংশ জলযাত্রা অ্যাপে দিয়েছি। যাত্রীদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে টিকিটের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেবো। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম মুকুল জানান, লঞ্চের টিকিট সংগ্রহে যাত্রীদের নানা রকম ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টিকিট বুকিং নিয়ে যাত্রীরা সব সময়ই চিন্তিত থাকেন। অনেক সময় লঞ্চে গিয়েও মেলেনা কাঙ্ক্ষিত টিকিট। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকে। সঙ্গে গুনতে হয়েছে দিগুণ টাকা। আমাদের অ্যাপে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যা টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে প্রায় শতভাগ সক্ষম। আমাদের সেবার পরিধি বাড়াতে পরবর্তী ভার্সনে বাসের টিকিট সেবা যুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে বেশ কিছু অ্যাডিশনাল ফিচার যোগ হবে।
Leave a Reply