শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
‘পিঠে সিলিন্ডার বেঁধে মাকে নিয়ে হাসপাতালে’ সেই স্কুলশিক্ষকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

‘পিঠে সিলিন্ডার বেঁধে মাকে নিয়ে হাসপাতালে’ সেই স্কুলশিক্ষকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে পিঠে সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই মায়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। সোমবার তাঁর শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কমেছে। অল্প পরিমাণে খাওয়াদাওয়াও করতে পারছেন তিনি। করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ওই মায়ের নাম রেহেনা পারভীন (৫০)। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার স্কুলশিক্ষক। শনিবার বিকেলে রেহেনাকে চিকিৎসার জন্য মোটরসাইকেলে করে বরিশালে নিয়ে আসেন তাঁর ছেলে জিয়াউল হাসান। শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা মায়ের ব্যবহারের জন্য পিঠে বেঁধে নেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল। রেহেনা পারভীন এখন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন। ছেলে তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান মায়ের সঙ্গেই আছেন। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র বলছে, রেহেনা পারভীনের ফুসফুসের বড় একটা অংশ সংক্রমিত হয়েছে। এ জন্য তাঁকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। তবে শ্বাসকষ্ট অনেক কমে এসেছে। শ্বাসকষ্টের কারণে আগের দুদিন ধরে যেখানে আট লিটার অক্সিজেন লাগছিল, সেখানে সোমবার এক থেকে দেড় লিটার লেগেছে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে তাঁকে উচ্চমাত্রার আমিষযুক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এতে তাঁর ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেড়েছে। ইনসুলিন দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। নিরুপায় হয়ে মোটরসাইকেলে করে মাকে বরিশালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গামছা দিয়ে পিঠের সঙ্গে শক্ত করে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি বাঁধেন। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তাঁর মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেন। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পৌঁছান বরিশালে। রেহেনা পারভীন ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১০ দিন ধরে বাড়িতে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। কিন্তু প্রতিবেদন এখনো পাননি। এর মধ্যেই শনিবার সকালে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কষ্ট কমাতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে আনেন ছেলে জিয়াউল হাসান। মায়ের মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেন। তবু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। এ অবস্থায় মাকে বরিশালে নিতে তিনি অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো গাড়ির খোঁজে নামেন। কিন্তু পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে করে মাকে বরিশালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গামছা দিয়ে পিঠের সঙ্গে শক্ত করে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি বাঁধেন। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তাঁর মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেন। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পৌঁছান বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশে আরেকটি মোটরসাইকেলে করে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিব। তাঁদের ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জিয়াউল হাসান সোমবার দুপুরে বলেন, ‘মা এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে চিকিৎসা খুব ব্যয়বহুল। প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকা লাগছে। আমি তারপরও সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষ করে গণমাধ্যমের কাছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে আমার ছবি ও সংবাদ দেখে আমাদের ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) নির্বাহী পরিচালক সোমবার সকালে আমাকে ফোন করে মায়ের খোঁজখবর নিয়েছেন।’ করোনা ওয়ার্ডে মায়ের সঙ্গে থাকার বিষয়ে জিয়াউল বলেন, ‘এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আমি জানি। কিন্তু আমার মায়ের জন্য আমি সব ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com