নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক তরুণীর করা ধর্ষণের অভিযোগটি গুরুত্বের সহিত তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভিকটিম তরুণী জানান, জসীমের পরিবার ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছেন। তবে আজকের মধ্যে জসীমের পরিবার তাকে সসম্মানে ঘরে তুলে না নিলে কোনো আপস করবেন না। বরং কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা না গেলেও পরিবারের সদস্যদের দাবি তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এদিকে, ছাত্রলীগের এ নেতার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় কিছুটা বিব্রত মহানগর আওয়ামী লীগ। ভাবমূর্তি রক্ষায় বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে জসীমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিকে সুপারিশ করা হবে। এর আগে সোমবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাতে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা ও ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দেন ২৫ বছরের এক তরুণী। ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন জসীম। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বরিশাল সদর হাসপাতালে গর্ভপাতও করানো হয়। থানায় ওই অভিযোগ দায়েরের পর তরুণীর সঙ্গে জসীমের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে রোববার পারিবারিকভাবে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন জসীম। বিয়ের একদিন পর তরুণীর সঙ্গে জসীমের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, ওইদিনই তার সঙ্গে বরগুনা জেলার এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। আর এরপরই প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মোবাইলে ওই তরুণী জানান, জসীমের পরিবার তার পরিবারকে হ্যারাজমেন্ট করেছে। তারপরও জসীমের পরিবার ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছে। তারা যদি আজকের মধ্যে তাকে সসম্মানে ঘরে তুলে না নেয় তাহলে কোন আপস নয়, বরং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এর আগে জসীম উদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক চক্রান্তের পুনরায় শিকার আমি। যে মেয়েকে দিয়ে এ অভিযোগ করানো হয়েছে সেই মেয়ে সম্পর্কে আমার আত্মীয় হয়। তাকেই ঢাল বানিয়ে আমার বিয়ের পরেই আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এর আগেও টপটেন শোরুম ভাঙচুর করে আমার নাম দেওয়া হয়েছিলো। পরে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সত্য বেরিয়ে আসে। এবারেও এমন ষড়যন্ত্রের শিকার আমি। মানসিকভাবেই আমাকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ওই তরুণীর অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply