নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রচন্ড গরমে কীর্তনখোলা নদীতে প্রশান্তির খোঁজে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। বরিশালে মৃদু তাপদহ বিরাজ করছে। প্রচণ্ড তাপদহে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দুপুরে প্রখর রোদে ত্রাহি অবস্থা হয় রোজাদারদের। তবে যেকোনো সময় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষকরা। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. আনিছুর রহমান জানান, বুধবার বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে চলতি মৌসুমে গত ২২ মার্চ বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিলে বরিশালে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনের তাপমাত্রায় সাধারণ মানুষের মাঝে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে ভর-দুপুরে রোদের তীব্র তাপে মানবকূলে ত্রাহি অবস্থা। এ অবস্থায় গাছের তলায়-ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে প্রশান্তি খুঁজছে অনেকে। অনেকে আবার নদী-পুকুর-জলাশয়ে দীর্ঘ সময় সাঁতার কেটে ডুবাডুবি করে গা জুড়িয়েছেন। বুধবার দুপুরে বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, নদী বন্দরের খালী পন্টুন থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রশান্তি খুঁজছে শিশু-কিশোররা। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. আনিছুর রহমান আরও জানান, এখন গ্রীষ্মকাল। এই সময়ে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক। বুধবার বরিশালের তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। অর্থাৎ মৃদু তাপদহ চলছে। এটা ৩৮ ডিগ্রির উপরে উঠলে মাঝারি এবং ৪০ ডিগ্রির উপরে উঠলে তীব্র তাপদহ শুরু হবে। তাপদহ বাড়লে যেকোনো সময় ঝড়বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
Leave a Reply