শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
ঝালকাঠিতে ত্রানের জন্য হাহাকার

ঝালকাঠিতে ত্রানের জন্য হাহাকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রতিদিন সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পৌরসভা ও সদর উপজেলা পরিষদের সামনে জমছে অভাবী মানুষের ভিড়। ত্রাণে আশায় সরকারি এক অফিস থেকে ছুটছেন অন্য অফিসে। কখনো যাচ্ছেন বিত্তশালীদের বাড়ির সামনে। ঝালকাঠিতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে আয় হারিয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় থাকা এসব মানুষের খবর রাখছেন না কেউই। গত বছর এই সময়ে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম থাকলেও এ বছর লকডাউনের মধ্যে অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি কোন বৃত্তবান মানুষ। অসহায় এসব মানুষের প্রশ্ন, লকডউন-করোনায় কোন ক্ষুধা মানে না, তাঁদের পরিবারের অনাহারী সদস্যদের নিয়ে কোথায় যাবেন? পৌরসভার পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার নুরজাহান বেগম (৬০) করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের আগে বাসা বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন। কাজ না থাকায় এখন তাঁর পরিবার না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গত দুই দিন ধরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বসে ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। এ সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, অন্যের বাসায় কাম করতে গ্যালে বাড়ির মালিক কয় করোনা-লকডাউন, এহন কামে আওয়া লাগবে না। এদিকে ঘরে চাউল নাই, বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়া চায়। কোথায় যামু, সমিতির লোকজন কিস্তি চায়। ঘরের ৫ জন সদস্য তিনদিন ধইর্যা না খাইয়া থাহার মত অবস্থা। এজন্য আমি ডিসি স্যারের ধারে ত্রাণের লইগ্যা আইছি। শুধু নুরজাহান বেগমই নয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হাসি বেগম (৪৫), প্রতিবন্ধী আবদুল আজিজ (৬৪), মায়া বেগমসহ (৭৩) শতাধিক খেটে খাওয়া অভাবী মানুষ ভিড় করেছেন একটু ত্রাণের আশায়। তাঁদের অধিকাংশই চল্লিশোর্ধ নারী ও স্বামী পরিত্যাক্তা বা বিধবা। তাঁদের সকলের চোখেই ক্ষুধা আর পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে অজনা আতঙ্ক কাজ করছে। তবে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার সরকারিভাবে কোন ত্রাণ আসেনি। জানা যায়, সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করলেও গরীব মানুষদের তেমন বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু এর পরে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ এবং পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১৪ দিন কঠোর লকডউনের ঘোষণায় ঝালকাঠির খেটে খাওয়া অভাবী মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। প্রথম দিকে অনেকে পুঁজি ভেঙে খেলেও লকডাউনের নবম দিনে এসে মানুষ অভাব টের পাচ্ছেন। শহরের চাঁদকাঠি এলাকার মনির হোসেন (৪৫) বলেন, আমি গণপরিবহনে চাকরি করতাম। লকডাউনের মধ্যে আমাদের গাড়ি বন্ধ রয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। কেউ ত্রাণও দিচ্ছেন না। টিসিবির পণ্য কেনার সামর্থও নেই। আর কিছুদিন গেলে না খেয়ে থাকতে হবে। শহরের কলাবাগান এলাকার হাসি বেগম বলেন, ঘরে উপার্জনক্ষম আমি একাই। মানুষের বাসা-বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। এখন মালিকের অবস্থাই খারাপ, আমাদের কাজে রাখতে পারছেন না। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলার উপায় নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছর ঠিক এই সময়ের লকডাউনে সরকারি অনুদান হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন ও বিত্তশালীদের মাধ্যমে জেলার ৫০ হাজার মানুষ ত্রাণ সহয়তা পেয়েছে। কিন্তু এ বছর সরকারিভাবে কোন ত্রাণ সহায়তা আসেনি। ব্যক্তি পর্যায়ে তেমন কোন ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগও নেই। এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, লকডাউনে প্রতিদিনই পৌরসভার সামনে মানুষ ত্রাণের আশায় ভিড় করছে। এ বছর সরকারিভাবে কোন সহায়তা আসেনি। মানুষের জন্য কিছু করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমার পৌর পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার পরিবার যেভাবে পরিছি মানুষকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। জেলা প্রাশাসক মো. জোহর আলী বলেন, এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়নি। প্রতিদিনই আমার কার্যালয়ের সামনে অভবী মানুষেরা ভিড় করছে। তবে শিগগিরই মানুষের হাতে প্রধানন্ত্রীর উপহারের দুই হাজার ৫০০ টাকা মুঠোফোনের মাধ্যমে চলে যাবে বলে আশা করি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com