মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ মঠবাড়িয়ায় মোবাইল চোর সন্দেহে সানাউল ইসলাম (১৩) নামে কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত সানাউল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে হোগলপাতি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত সানাউলের মামা শহিদুল ইসলাম (৩৬) বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ি সোহাগ মিয়া (২৬), মেয়ে দুলু (৩২) ও বেল্লাল মাতুব্বর (৩০)। থানা সূত্রে জানা গেছে, হোগলপাতি গ্রামের সোহাগ মিয়ার একটি মোবাইল সম্প্রতি চুরি যায়। ওই মোবাইলে সিম কার্ড কিশোর সানাউল কুড়িয়ে পেয়ে গত একসপ্তাহ ধরে ব্যবহার করে। মোবাইল মালিক বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সানাউলকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর একিট ফার্মেসিতে নিয়ে ওই কিশোরকে চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ে প্রথমে প্লাস দিয়ে হাতের আঙ্গুল ও নাক চেপে ধরে। এরপর শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। পরে স্থানীয় চৌকিদার ও ইউপি সদস্য বিষয়টি জানতে পেরে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ আহত কিশোর সানাউলকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। আহত সানাউল জানায়, সে একটি মোবাইল সিমকার্ড পথে কুড়িয়ে পেয়ে এক সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করছে। বুধবার সন্ধ্যার পরে সোহাগসহ দুজন তাকে ফার্মেসিতে আটকে নির্যাতন করে। এ সময় তারা মোবাইল চুরির বিষয় স্বীকার করতে বলে। স্থানীয় চৌকিদার জসিম উদ্দিন বলেন, সানাউলের চিৎকার শুনে প্রথমে রাত ৮টার দিকে ওই ফর্মেসির দরজায় ধাক্কা দেই এবং মারতে নিষেধ করে আমি নামাজে চলে যাই। রাত ১১টার দিকেও তাকে মারধর করার খবর পেয়ে মেম্বরকে নিয়ে সানাউলকে উদ্ধার করি। স্থানীয় হোগলপাতি গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, সানাউলকে চোর সন্দেহে নির্যাতন করা হয়েছে। খবর পেযে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান মামলা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply