মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
খালের পানি ব্যবহারেই ডায়রিয়ার প্রকোপ: আইইডিসিআরের গবেষণা

খালের পানি ব্যবহারেই ডায়রিয়ার প্রকোপ: আইইডিসিআরের গবেষণা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরগুনায় মহামারি আকার ধারণ করেছে ডায়রিয়া। এক যুগের রেকর্ড ছাড়িয়ে জেলার পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে মারা গেছেন আট জন। প্রতিদিন নতুন করে সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছে আক্রান্ত রোগীরা। ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল বরগুনায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। মার্চ মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় মাসব্যাপী আইইডিসিআরের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করে। দলটি জেলার সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকা ঘুরে রোগীদের মল, বিভিন্ন উৎসের পানির নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়েছে। গত কয়েকদিনে বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এলাকার খালের পানিতে মলের জীবাণু ই-কোলাইয়ের অস্তিত্ব মিলেছে আইইডিসিআরের গবেষণায়। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ গৃহস্থালিসহ নানান কাজে খালের পানি ব্যবহার করে। বরগুনা জেলায় ডায়রিয়া মহামারি আকারে দেখা দেওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে এ তথ্য পেয়েছে গবেষক দল। বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধিদল ১ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের তালিকা ধরে সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় দেখা যায়, জেলার ৯৪ শতাংশ লোক গভীর নলকূপের পানি পান করলেও ৭১ শতাংশ মানুষ দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজে খালের পানি ব্যবহার করে। সমীক্ষাভুক্ত এলাকার মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িতে গভীর নলকূপ আছে। প্রতিষ্ঠানটি বরগুনার খালের পানির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ল্যাবে পরীক্ষা করে খালের পানিতে মলের জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে। ২০ জন রোগীর মল পরীক্ষায় ৩ জনের মলে কলেরা ও ই-কোলাই জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো আইইডিসিআরের ওই প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে খাওয়া ও গৃহস্থালি কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে গভীর নলকূপের সংখ্যা বাড়ানো, খাল-নদীর পানি ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে নিরাপদ করে ব্যবহার করা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো। আইইডিসিআরের প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান বলেন, আমরা এরই মধ্যে সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি চিঠি দিয়েছি। এদিকে ডায়রিয়ার অবনতি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে আইইডিসিআর আরেকটি প্রতিনিধিদল বরগুনায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। মার্চ মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় মাসব্যাপী আইইডিসিআরের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলটি বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করে। দলটি জেলার সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকা ঘুরে রোগীদের মল, বিভিন্ন উৎসের পানির নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়েছে। আইইডিসিআরের তিন জন রোগতত্ত্ববিদ (চিকিৎসক) ও তিন জন কারিগরি সহায়ক এই দলে আছেন। এ দলের নেতৃত্ব দানকারী রোগতত্ত্ববিদ জাহিদুর রহমান জানান, প্রতিবছরই এই মৌসুমে বিভাগে কমবেশি ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। কিন্তু এবার আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি। এর কারণ অনুসন্ধানের জন্য তারা বরগুনায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তারা স্বাস্থ্য বিভাগ, আক্রান্ত ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন। একই সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের নানা বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে যা বোঝা যায় তাতে এ অঞ্চলের মানুষের একটি নেতিবাচক প্রবণতা হলো দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করা। বিশেষ করে সকালে ভাতের সঙ্গে খালের পানি মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে। এই অভ্যাস বদলাতে হবে। গৃহস্থালিসহ সব কাজে নলকূপের পানি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিনিধিদলের সদস্য রোগতত্ত্ববিদ সুব্রত মালাকার বলেন, ‘আমরা কেবল কাজ শুরু করেছি। নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে, ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার প্রকৃত কারণ। ’ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডায়রিয়ায় বরগুনার বেতাগী উপজেলায় দুই, বরগুনা সদর ও আমতলী উপজেলার দু’জন মারা গেছেন। এছাড়া ৮ থেকে ২০ এপ্রিলে বরগুনার বেতাগীতে আরো চার জন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ও বাড়িতে মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। এ জন্য জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। এদিকে বরগুনার হাসপাতালগুলোতে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে জেলায় স্যালাইন সংকট রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com