খবর বিজ্ঞপ্তি ॥ পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে সংবাদপত্রের পাওনা সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম। শনিবার এক বিবৃতিতে সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদ ও আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে বিরাজমান ভয়াবহ করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত গণমাধ্যমও মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এই করোনা পরিস্থিতিতেও গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়া) তাদের উপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছে। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ংকর পরিবেশেও দেশ ও মানুষের স্বার্থে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপে মানুষের জীবন ও জীবিকা নিরাপদ, চলমান ও গতিশীল রয়েছে। এই করোনা ও লকডাউনের মধ্যে সম্মুখসারির যোদ্ধা সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা এবং বিপুল সংখ্যক অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। করোনার এই দ্বিতীয় দফার ভয়ংকর ঢেউয়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি আবারও এলামেলো হয়ে পড়েছে। সরকার তার সর্বস্ব দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষার্থে অত্যন্ত কৌশলী ভূমিকা গ্রহণ করে বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগ ও পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত ও সমর্থন জানাই এবং সরকারের সহযোগী হিসেবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার পরও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়াকে মারাত্মক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি অফিস ও ডিএফপির কাছে সংবাদপত্রগুলোর বিপুল পরিমাণে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিলের অর্থ দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। ঈদের আগে জরুরি ভিত্তিতে এইসব বকেয়া বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে গণমাধ্যমে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে, যা এই র্শিল্পে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে। নেতৃবৃন্দ সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধে, ডিএফপি ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে তাগিদ দিয়ে আসন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে গণমাধ্যমকে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে এসংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মহোদয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন-ইকবাল সোবহান চৌধুরী-সম্পাদক, ডেইলি অবজারভার; নাঈমুল ইসলাম খান- সম্পাদক, আমাদের কুমিল্লা; শ্যামল দত্ত-সম্পাদক, ভোরের কাগজ; শাহজাহান সরদার-সম্পাদক, বাংলাদেশ জার্নাল; আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া-সম্পাদক, বাংলাদেশের খবর, কে.এম. বেলায়েত হোসেন-সম্পাদক, ভোরের ডাক ও শরিফ সাহাবুদ্দিন-সম্পাদক, বাংলাদেশ পোস্ট। আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন- সম্পাদক, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন; যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদ আনোয়ার- ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, আলোকিত বাংলাদেশ; নাসিমা খান মন্টি- সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়। সদস্যসচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার- সম্পাদক, দৈনিক আজকালের খবর। সদস্য: আহসান উল্লাহ-সম্পাদক, দৈনিক জনতা; ড. এনায়েত করিম-সম্পাদক, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি; মো. আহসান হাবীব-সম্পাদক, দৈনিক খোলাকাগজ; দুলাল আহমেদ চৌধুরী-ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, মানবকণ্ঠ;, রিমন মাহফুজ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক; সংবাদ প্রতিদিন, মীর মনিরুজ্জামান-সম্পাদক, শেয়ারবিজ; মফিজুর রহমান খান বাবু-সম্পাদক, বাংলাদেশের আলো এসএম মাহবুবুর রহমান-ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, প্রতিদিনের সংবাদ; মোহাম্মদ আশরাফ আলী-সম্পাদক, বাংলাদেশ বুলেটিন; বিভাগীয় সদস্য: কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল-সম্পাদক, দৈনিক আজকের বার্তা (বরিশাল); জগদীশ চন্দ্র সরকার-সম্পাদক, স্বদেশ সংবাদ (ময়মনসিংহ); সৈয়দ ওমর ফারুক-সম্পাদক, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ (চট্টগ্রাম); আকবারুল হাসান মিল্লাত-সম্পাদক, দৈনিক সোনার দেশ (রাজশাহী); আহমেদ নূর-সম্পাদক, দৈনিক সিলেট মিরর (সিলেট); মকবুল হোসেন মিন্টু-সম্পাদক, দৈনিক রাজপথের দাবি (খুলনা); আব্দুল বারী তোতা-সম্পাদক, প্রথম খবর (রংপুর) ও সুমনা রায়-সম্পাদক, দৈনিক চাঁদনী বাজার (বগুড়া)।
Leave a Reply