ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ ভান্ডারিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগির ভিড় বাড়ছেই। এর মধ্যে শনিবার (২৪ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জন মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তা ডা. ননী গোপাল রায়। মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন, ভান্ডারিয়া পৌর শহরের দক্ষিণ ভান্ডারিয়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী মমতাজ(২৮), এবং কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুলালের ৯ মাসের ছেলে জাহিদ হাসান নামের এক শিশু মারা যায়। রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৩৫ জন। এছাড়া শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভর্তি হয়েছে ৫০জন। হাসপাতালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় হাসপাতালের পুরুষ-মহিলা ওয়ার্ডের সকল বেডে রোগি ভর্তি থাকায় বেড না পেয়ে বারান্দার মেঝেতে ভর্তিকৃত রোগিদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্সরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তা ডা. ননী গোপাল রায় জানান, হঠাৎ ডায়রিয়া প্রকোপ বৃদ্ধির কারন পানি বাহিত। বৃষ্টি নাই, অতিরিক্ত খড়া, নদী, খাল, পুকুরে পানি কম। তা ছাড়া অধিকাংশ নিন্ম আয়ের মানুষ পুকুর, ডোবা, খাল এবং নদীর পানিতে রান্না, গোসল, থালাবাসন, কাপড়চোপর পরিস্কার করা এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারনে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র গড়মে সংরক্ষণ করে খাবার খাওয়া, বাসি বা সময় উত্তির্ণ খাবার খাওয়ার ফলেও এ রোগ বৃদ্ধি পায়। এদিকে স্থানীয় অনেকে জানান দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদী,খালের পানি ছিল মিঠা। হঠাৎ করে কয়েকদিন যাবত খালের পানি মুখে নিলেই তা লবনাক্ত মনে হয়। অন্যদিকে পৗর সভাসহ উপজেলার বাকি ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে তেলিখালী, নদমুলা, ধাওয়া,ভিটাবাড়িয়া এবং গৌরীপুরের অ-গভীর, গভীর নলুকুপ বসে। উপজেলার বাকি অংশের বাসিন্দাদের নদী, খাল ও পুকুরের পানির উপরে ভরসা করতে হয়। চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমে বিভিন্ন জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ও লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো বিপাকে পড়েছে এ জনপদের বাসিন্দারা। পানি বিশুদ্ধ না করে পান করায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপির বিশেষ প্রচেষ্টায় ভান্ডারিয়া পৌর শহরে বন্ধুপ্রতীম ভারত সরকারের অর্থায়ণে ১১টি ওয়াটার পিউরিফাই মেশিন স্টেশন স্থাপন করেছে।
Leave a Reply