আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলীতে বাড়িতে একা পেয়ে চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য থানায় নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাসুম মাতুব্বর (২০) ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। তিনি কলাগাছিয়া গ্রামের মজিবর মাতুব্বরের ছেলে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির চাচাতো বোনকে (১৮) বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় ভিকটিমের বাবা-মা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। তারা ভিকটিমের নানা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ভিকটিমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক মাসুম দৌড়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে আমতলী থানায় সংবাদ পৌঁছলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রণজিৎ কুমার সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আমতলী থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য গতকাল (রবিবার) ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হবে। ভিকটিমের মা বলেন, মেয়েকে বাড়িতে রেখে আমি এবং মেয়ের বাবা আমার বাপের বাড়ি গিয়েছিলাম। এ সুযোগে বাড়িতে মেয়েকে একা পেয়ে আমার চাচাতো ভাসুরের বখাটে ছেলে মাসুম তাকে ধর্ষণ করে। আমি আমার মেয়ের চরম সর্বনাশকারীর কঠোর বিচার দাবি করছি। আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রণজিৎ কুমার সরকার মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমতলী থানার ওসি মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য ভিকটিমকে আজ আদালতে পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত।
Leave a Reply