স্টাফ রিপোর্টার ॥ সন্তানের সঙ্গে হাতে ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে সড়কের পাশ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন আনিকা ড্রিম হাউসের সত্ত্বাধিকারী আনিকা তাহসিন। হঠাৎ করে একটি মোটরসাইকেলের পেছনের সিটে বসা এক ছিনতাইকারী নারী ব্যাগটি টান দিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শুধু আনিকাই নন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও হতবাক হয়েছেন। এরইমধ্যে ভুক্তভোগী আনিকা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তিনি তার ফেসবুক আইডি থেকেও বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। আর ওই পোস্টে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পাওয়া ছিনতাইকারীদের দু’টি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন। যেটি এখন নগরজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আনিকা তাহসিন বলেন, রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আমি বাসা থেকে বাংলাবাজার সংলগ্ন একটি কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে যাওয়ার জন্য বের হই। সঙ্গে আমার নিজের ও বোনের ছেলে ছিল। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা মেয়েটি আমার হাতের ব্যাগটি টেনে নেন। সঙ্গে সঙ্গে চালক মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যান। ব্যাগের মধ্যে তিনটি ব্যাংকের কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্ড, নগদ টাকাসহ জরুরি কিছু কাগজপত্র ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় এক ছেলের মাধ্যমে জানতে পারি ওই ছেলে ও মেয়েটি এরআগেও আশেপাশে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করেছেন। তারা আমাকে টার্গেট করে ছিনতাই করলো কিনা তা বুঝতে পারছি না। যাহোক এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি। তিনি বলেন, বাইক চালিয়ে ছিনতাই হয়, তবে মেয়েরা যে এতে সম্পৃক্ত সেটি দেখে আমি হতবাক হয়েছি। আর বাইক যাদের আছে তারা অভাবের তাড়নায় এ কাজ করতে পারেন না। হয়তো স্বভাবের কারণে নয়তো নেশার কারণে এ কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আমার হয়তো অল্প টাকার মালামাল খোয়া গেছে, তবে ওদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে যদি ৫ হাজার টাকা খরচ হয় তাতেও আমি দ্বিধাবোধ করবো না। কারণ সমাজের এ অবক্ষয় রোধে ওদের আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করছি। ডিস্ট্রিক্ট উইমেন্স বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বরিশালের পরিচালক রেবেকা সুলতান বলেন, এ ধরণের কাজে মেয়েদের জড়িয়ে যাওয়া সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। অর্থনৈতিক কারণ অর্থাৎ অভাবজনিত কারণ ছাড়া এ ধরণের কাজে জড়ানোটাও একধরনের মানসিক সমস্যা। এজন্য কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন। আর সেটা আইনের আওতায় এনে হোক কিংবা পরিবারের মাধ্যমেই হোক। নয়তো একসময় এটি অভ্যাসে পরিণত হবে।
Leave a Reply