মো: লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা সদর থেকে কাটাভারানী ভেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে তারিকাটাÑঅনন্তপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২৫কি.মি. সড়ক চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে তিনটি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষেকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন সারা দেশে দৃশ্যমান। অথচ মহিপুর বাজার থেকে তারিকাটাÑঅনন্তপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২৫কি.মি. গ্রামে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। এরাস্তা দিয়ে মহিপুর, ডালবুগঞ্জ ও ধূলাসার এ তিনটি ইউনিয়নের সাধারন লোকজন ছাড়াও চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা , একটি হাফিজী মাদ্রসা , তিনটি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও চলাচল করছে। বর্ষার সময় এসব গ্রামগুলোর কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ খাটিয়ায় করে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়ে। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। ভোটের সময় অনেক জনপ্রতিনিধিরা এ এলাকার দু:খ দুর্দশা লাঘবে সড়ক নির্মানে প্রতিশ্রতি দিলেও নির্বাচিত হবার পর প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নে কেহ আর আন্তরিক থাকে না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিপুর বাজার হতে কাটাভারানি বেবিবাঁধ সড়ক দিয়ে মহিপুর, বিপিনপুর, সেরাজপুর, লতিফপুর, নিজশিববাড়িয়া, ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর, মেহেরপুর, কাটাভারানি, কাজিকান্দা, সুরডগি, বরকুতিয়া, খাপড়াভাঙ্গা, মনসাতলী, পার্শ্ববর্তী ধুলাসার ইউনিয়নে তারিকাটা, নয়াকাটা, নয়াকাটা দিওর, বেীলতলী, বেীলতলীপাড়া, মুসলিমপাড়া, বেতকাটা, বেতকাটাপাড়া, খোচাউপাড়া, সোনাপাড়া, পক্ষিয়াপাড়া, অনন্তপাড়াসহ গ্রামের মানুষ মহিপুর থানা সদরে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে মাটি ক্ষয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। এ সড়কের মহিপুর বাজার হতে প্রায় ২কি.মি. ইট সলিং রাস্তা ছিল। বর্তমানে তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। এই রাস্তা দিয়ে ওই তিন ইউনিয়নের মানুষ নবগঠিত মহিপুর থানার সাথে যোগাযোগ করতে হয়। এছাড়া পুলিশ প্রশাসন যোগাযোগ ভালো না হওয়ায় মামলার আসামি ও গ্রামে চুরি ছিনতাই হলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে কাদামাটিতে একাকার হয়ে সম্পূর্ন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।ফলে তাদের ধান কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঝিমিয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা। ফসলের ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া এলাকার সন্তান সম্ভাবা মা, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। ডাবলুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন জানান, ওই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। জনস্বার্থে রাস্তাটি পাকা করা উচিত। কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) মো: মোহর আলী জানান, রাস্তাটি পাকা করনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
Leave a Reply