আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ মহামারি করোনায় দেশের মানুষ যখন বিপন্ন সেই মূর্হুতে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের অজিৎ বৈদ্যর বাঁধার কারনে একই এলাকার লুক বৈদ্য পুরাতন ঘর সংস্কার করতে না পেরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দিন হলে রোদে পুরে ও বৃস্টি হলে বৃস্টিতে ভিজে। লুক বৈদ্য এলাকার মাতুব্বর ও মেম্বারসহ বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের প্রাণ জুরান বৈদ্যর ছেলে অজিৎ বৈদ্য একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়াতে সে গায়ের জোরে অনেক অপরাধ করে। অজিৎ বৈদ্য প্রভাবশালী হওয়াতে তার ভয়ে কোন লোক মুখ খুলতে চায় না। অন্যয় ভাবে লুক বৈদ্যর পুরাতন ঘর সংস্কার কাজ বন্ধ করে রেখেছে অজিৎ। উপজেলার আমবৌলা গ্রামের মৃত সিমসন বৈদ্যর ছেলে লুক বৈদ্য জানায়, আমার টিনের একটি বসত ঘর পুরাতন হওয়াতে কাঠ ও টিন নষ্ট হয়ে যাওয়াতে বসবাসে অনুপযোগি হওয়ায় পুরাতন ঘর সংস্কার করতে গেলে একই এলাকার প্রাণ জুরান বৈদ্যর ছেলে অজিৎ বৈদ্যর ঘর সংস্কার কাজে বাঁধা দিচ্ছে। তার বাঁধার কারনে পুরাতন ঘর সংস্কার করতে না পেরে আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন খোঁলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছি। লুক বৈদ্য আরো জানায়, ঘরের জায়গা তার নিজ নামে রেকর্ডীয় মালিক। এব্যাপারে অজিৎ বৈদ্যর বড় ভাই কৃপা নন্দ বৈদ্য সাংবাদিকদের জানায়, লুক বৈদ্যর পুরাতন ঘর সংস্কার করছে। দীর্ঘদিন যাবত লুক বৈদ্য ওই ঘরে তার ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছে। ওই ঘরের জায়গা লুক বৈদ্যর নামে রেকর্ড। স্থানীয় বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেহেদী হাসান মিথুন বলেন, লুক বৈদ্যর নিজ নামে রেকর্ডীয় জমিতে পুর্বপুরুষ থেকে প্রায় একশত বছর ধরে ওই স্থানে বসবাস করে আসছে। সেই পুরাতন ঘরটি সে সংস্কার করছে। লুক বৈদ্য ছেলে-মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশে নিচে থাকায়, আমি অজিৎকে বারবার অনুরোধ করেছি যাতে ঘরটি সংস্কার কাজ করতে দেয়, সে আমার কোন কথা রাখে নাই। এব্যাপারে অভিযুক্ত অজিৎ বৈদ্য জানায়, আমি বরিশালে থাকি। আমি আমার গ্রামের বাড়ি যাই না। তবে লুক বৈদ্য যে ঘরটি সংস্কার কাজ করছে সেই ঘরে লুক বৈদ্য দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে একথা সত্য। কিন্তু ওই জায়গা তার নয়।
Leave a Reply