মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন
নাজিরপুরের কলারদনিয়ার মসজিদের ইমান মাওলানা মোঃ নূরুলহুদা কে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি পক্ষ

নাজিরপুরের কলারদনিয়ার মসজিদের ইমান মাওলানা মোঃ নূরুলহুদা কে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি পক্ষ

জেলা প্রতিনিধি,  পিরোজপুর: স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের  মৌলবি বাড়ীর   জগন্নাথকাঠী মসজিদের ইমাম মোঃ নূরুল হুদাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে  স্থানীয় কিছু বিপদগামী লোকের   বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকার মসজিদের ইমাম মোঃ নূরুল হুদার সাথে গত পাঁচদিন আগে নামাজ পড়া নিয়ে হালকা তর্ক বিতর্ক হয়। আর সেই সূত্র ধরেই মাত্র তিন দিনের ব্যাবধানে মসজিদের ইমামকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রর মাধ্যমে   অশ্লীল খেলায় মেতে উঠে। কোন রকম সময় সুযোগ না দিয়েই গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মুহুর্তের মধ্যে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করেন ইমামকে । অথচ করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও স্থানীয় কমিশনার মানবিক দৃষ্টি কটু কাজ করে বলে স্থানীয় মুসল্লীরা জানান। স্থানীয় সূত্র  আরও জানায়, মসজিদের ইমাম  হয়তো অপরাধী কিন্তু এক তরফা ভাবে তাড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় কমিশনার ও ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ মুসল্লীদের কাছ উন্মোচিত হয়ে পড়ে।
 এদিকে  গত বুধবার বিকাল বেলা মৌলবি বাড়ীর স্কুল প্রাঙ্গণে কমিটির শীর্ষ নেতারা সহ স্থানীয় কমিশনার বৈঠকে বসেন। উপস্থিত মুসল্লীদের সঠিক কোন প্রশ্নের জবাব ষড়যন্ত্রকারীরা সহ কমিটির মধ্যে কেহই স্ব উত্তর দিতে হিমসিম খেয়েছে । উপস্থিত বৈঠকে ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদীদের  প্রথম  প্রশ্ন, ইমাম অপরাধ করেছে কিন্তু কেন প্রকাশ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে না। দ্বিতীয় প্রশ্ন, ইমাম সাহেবের   মোবাইল সেটে অশ্লীল ছবি পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনার বিষয়ে কোন আত্মপক্ষ কথা বলার সুযোগ কেন পাবে না। তৃতীয় প্রশ্ন, হুজুরের ফোনে বিশ্রী ছবির ঘটনা নাকি তিন বছর আগের।অথচ  আর এজাতীয় নগন্য ঘটনা কেন আগে প্রকাশ পেল না।  মুসল্লীদের চতুর্থ প্রশ্ন, এ চক্রের সাথে কে কে জড়িত রয়েছে তাও জানতে চায়।
এদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। আর সেই কারণে সরকার নামাজের জামাত নিয়ে নুতন বিধি নিষেধ জারী করে। অথচ নুতন নিয়ন কানুন নিয়ে স্থানীয়  মজিবরের ছেলের সাথে মসজিদের ইমাম মোঃ নূরুল হুদার সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। আবার পাল্টা অভিযোগ মজিবরের ছেলে আহলে হাদীস অনুসারী হওয়ায় নামাজের আইন কানুন নিয়েও এলাকায় মুসল্লীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ পাশ। পাশাপাশি মসজিদের মোয়াজ্জেনও অন্য রকম ভিলেন হওয়া স্বত্বেও কেন পার পেয়ে যাবে।  মোবাইলের অশ্লীল পিক মসজিদের মোয়াজ্জেনের মোবাইলেও পাওয়া যায়। আর এখানেই মুসল্লীদের পাল্টা প্রশ্ন, বলির পাঠা কেন মসজিদের ইমাম মোঃ নূরুল হুদা একা হবেন।  তাছাড়া ইমাম সাহেবের মোবাইল ফোন গত চার মাস আগে মোয়াজ্জেনই কিনে দেয়। তাহলে  কেন মোয়াজ্জেন শাস্তির আওতায় আসবে না। পাশাপাশি মূল ভিলেন ফিরোজ মিয়ার ছেলে ও মুজিবের ছেলে গত তিন বছর আগের ঘটনা কেন ধামাচাপা দিয়ে রাখলো। কি গভীর স্বার্থ লুকিয়ে ছিলো তাও জানতে চায় এলাকার বেশীরভাগ লোকজন সহ মসজিদের সকল মুসল্লীরা।       এ ব্যাপারে কথ হয় মসজিদের ইমাম মোঃ নূরুল হুদার সাথে। তিনি জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি প্রথমত কঠিন ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে আমরাও কিছু ভুল আছে। আমি না বুঝে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আইডির সাথে কথোপকথন করি। তবে আমার  অশ্লীল ছবি এডিট করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাছাড়া আমার ফোন কেনা সহ  ফোনের জটিল সমীকরণ  সমাধানের জন্য মোয়াজ্জেন আমকে সব কিছু শিখিয়ে দিত। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলেন, আমার উপর অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ আমাকে দেয়নি। তড়িঘড়ি করে রাত্রের মধ্যে চলে যেতে বাধ্য করেন। আমার কান্নার মূল্য দেয়নি গভীর ষড়যন্ত্রকারীরা। আমার কোন কথাই শুনতে চায়নি বরং করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত আমরা। কিন্তু ঐ রাতে আমাকে বিপদে ফেলে দিয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। আমি অপরাধী হলে আমার কঠিন শাস্তি হোক। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা কেন পার পেয়ে যাবেন।                                     তবে ভিন্ন    কথা বলেন স্থানীয় কাউন্সিলর, তিনি বলেন,  আমি চেয়েছিলাম ইমাম সাহেব অপরাধ সমাজে প্রমাণিত হওয়ার আগেই স্ব সন্মানে চলে যাক। তবে তার ফোনে বিশ্রী ছবি পাওয়া যায়।  সর্বশেষ   এলাকার বেশীরভাগ লোকজন সহ মুসল্লীদের দাবী মসজিদের ইমাম মোঃ নূরুল হুদাকে নিয়ে গভীরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি পক্ষ। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, যদি ইমাম সাহেব অপরাধ করে থাকে তাহলে তার কঠিন বিচার হবে। কিন্তু এক তরফা ভাবে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত হবে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com