মো: জামাল হোসেন, রাজাপুর ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর সদরের দক্ষিন মনোহরপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধারে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পোড়ানের ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা করে হুমকীর মুখে পড়েছেন ভুক্তভোগী মামলার বাদী। মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিবাদীরা বাদীকে প্রতিনিয়ত তার ঘরে আগুন দেয়া সহ প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা সুত্রে জানাযায়, দক্ষিন মনোহরপুর এলাকার মৃত শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন হাওলাদার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে মুদি মনোহরীর দোকান দিয়ে ব্যাবসা করত। পার্শবর্তী মৃত ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম, রহিম হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ,হোসেন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসমাইল হাওলাদার,মৃত মফেজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মানিক হাওলাদার,মালেক হাওলাদারের ছেলে বাপ্পি হাওলাদারের সাথে আফজাল হোসেন হাওলাদারের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলতেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকায় প্রতিপক্ষ মামলার বিবাদীরা আফজাল হোসেনের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের শো শো শব্দ শুনে আফজাল হোসেনের বড় ভাই আলকাছ হোসেন আফজাল হোসেনকে জানালে তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের সবাই ছুটে আসে এবং ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তু ততক্ষনে দোকানের সকল মালামাল পূড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় দোকানে থাকা প্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল ও সোনালী ব্যাংকের চেক বই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন যার নং ২৪। মামলা করার পর থেকেই বিবাদীদের পরিবারের সদস্যরা মামলার বাদী ও তার স্বজনদের বাড়ী থেকে বের হতে দিচ্ছেন না এবং ভুক্তভোগী আফজান সহ তার স্বজনদের বাড়ী ঘর পূড়িয়ে দেয়া সহ তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন ও তার ভাই জানান,তারা বাড়ী থেকে বের হতে পারতেছেন না, মামলা তুলে না নিলে প্রতিপক্ষরা তাদের ঘরে আগুন দেয়া সহ তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেছে।এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তারা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিপুল চত্রুবর্তী বলেন,এ ঘটনায় মামলা তদন্তধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহতর রয়েছে। আসামী কর্তৃক মামলার বাদী ও তার স্বজনদের হুমকির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
Leave a Reply