বরগুনা প্রতিনিধি ॥ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বরগুনায় ছেলের শাবলের আঘাতে নিহত হয়েছেন পিতা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মো. আয়নাল মীর (৭০)। তিনি বরগুনা সদর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতের প্রথমপক্ষের ছোট ছেলে জামাল মীরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত আয়নাল মীরের দু’জন স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পাঁচ সন্তান এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর দুই সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর ও তার সন্তানদের সঙ্গেই বসবাস করতেন। এ নিয়ে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। পরে বছরখানেক আগে প্রথম পক্ষের সন্তানরা আয়নাল মীরকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর জমিজমা বণ্টন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রথমপক্ষের সন্তানরা আলোচনা শুরু করলে বাবার সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। তারা আরো জানান, জমিজমা সংক্রান্ত এই বিরোধ নিয়ে প্রথম পক্ষের ছোট ছেলে জামালের সঙ্গে আজ বিকেলে তার বাবা আয়নালের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় জামাল উত্তেজিত হয়ে তার বাবার মাথায় লোহার শাবল দিয়ে পরপর দু’টি আঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ আয়নাল মীর। পরে স্বজনরা তাকে বরগুনা সদর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে জামাল মীর বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমার বাবার কারনে আমরা নির্যাতিত এবং নিষ্পেষিত হয়েছে। তার কারনে আমি এবং আমার স্ত্রী মারধরেরও শিকার হয়েছি। আমার কাছে আমার বাবার ২৮ শতাংশ জমি বিক্রি করার কথা। সে জমি তিনি আমার কাছে বিক্রি না করে আমার বড় ভাইয়ের কাছে বিক্রি করেছেন। এ নিয়ে আজ বিকেলেও বাকবিতণ্ডা হলে তিনি আমাকে মারতে তেড়ে আসেন। এ সময় আমি নিজে বাঁচতে তাকে আঘাত করি। বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথেই অভিযুক্ত ছেলে জামাল মীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর নিহত বৃদ্ধ আয়নাল মীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply