বেতাগী প্রতিনিধি ॥ গত দুই সপ্তাহ জুড়ে টানা দাবদাহের পর দেশের উপকূলীয় জনপদের বিভিন্ন জেলায় গতকাল শনিবার বৃষ্টির দেখা মিলেছে। অসহ্য গরমের পর বহুল প্রত্যাশিত এই বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এ বছর বৈশাখের শুরু বৃষ্টিহীন যাচ্ছিল। গত ৭ মাস ধরে এ উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অনাবৃষ্টির কারণে রবি মৌসুমের কৃষি ফসলের বাদাম, মিষ্টি আলু, তিল, তিশি, মুখ, খেসারি ও মুসুরি ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিন যাবত এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মোনাজাত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দেশজুড়ে তৃতীয় তাপপ্রবাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এ অবস্থায় এক পশলা বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। তবে মাত্র ১৭ মিনিট বৃষ্টি হয়েছে। বেতাগী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক স্বপন মোল্লা জানান, বৃষ্টির অভাবে বীজতলা শুকিয়ে ফেটে গেছে। এ ছাড়া এ বছর বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ডাল জাতীয় ফসল হয়নি। বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন মজুমদার বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় রবি ও গ্রীষ্ম মৌসুমের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি ফসলের জন্য এ এলাকায় বেশি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন ছিল।
Leave a Reply