স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের দাবি আদায়ের এই মহান দিবসে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহরের প্রধান সড়কে লাল পতাকা র্যালী শেষে অশি^নীকুমার হলের সামনে সমাবেশ এবং বাসদ কার্যালয়ে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। সমাজত্রান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি, বাসদ আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মানিক হাওলাদার, বরিশাল রিক্সা ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি খুলনা ২৩২৪) সভাপতি দুলাল মল্লিক, সোনারগাঁ টেক্সটাইল শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, ভ্যান শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি মো. রফিক, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সহসভাপতি মাফিয়া বেগম, রিতা বেপারি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিজন শিকদার। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই করোনা লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো শ্রমজীবী মানুষ। কিন্তু এই শ্রমজীবী গরীব মানুষদের জন্য নেই কোন রেশনিং, নেই পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা। শ্রমিকদের আয়-রোজগার অর্ধেকে নেমেছে কিন্তু অন্যদিকে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে শ্রমজীবী, দরিদ্র-নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও সীমাহীন দু:খ-দুর্দশার মধ্যে অতিবাহিত করছে। তাই এই শ্রমজীবী পরিবারগুলোকে কমপক্ষে একমাসের খাদ্য সহায়তা এবং ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই মে দিবসেও শহরের মালিকেরা শ্রমিকদের ছুটি না দিয়ে দোকান ও কারখানা চালু রেখেছে তা খুবই অমানবিক। অবশ্যই সকল মালিককে ঈদের আগেই সমস্ত শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। সমাবেশ শেষে বাসদ কার্যালয়ে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে গণসঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন চারণ শিল্পীরা।
Leave a Reply