জেলা প্রতিনিধি , পিরোজপুর:
করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও আতঙ্কিত নয় নাজিরপুট ও স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের বেশীরভাগ স্থানীয় ইউপির সদস্যরা। স্থানীয় সূত্র জানায় পিরোজপুরের নাজিরপুর ও স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বেশীর ভাগ ইউনিয়নের মধ্যে স্থানীয় মেম্বরদের দূর্নীতি চরম পর্যায়ে । ঠান্ডা মাথায় গড়ে প্রতি ওয়ার্ডের মধ্যে সুকৌশলে বহু পরিবারের কার্ড নিয়ে মহা নাটক শুরু করে দিয়েছে। কোন রকম কারন দর্শনের নোটিশ ছাড়াই সরকারি ৩০ কেজির ন্যায্য মূল্যের কার্ডের চাল দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সরেজমিনে জেলার মধ্যে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদে চরম অনিয়ম করা হচ্ছে হত দরিদ্র পরিবারের সাথে। এসকল উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আগামীর ভোট বানিজ্যের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি বি এন পির সমর্থক পরিবারের লোকজনদের সরাসরি কার্ডের চাল দেওয়া বন্ধ করে দেয় ইতিমধ্যে । তবে চরম বিতর্কিত হওয়ার সত্যতা পাওয়া যায় নাজিরপুর ও নেছারাবাদের বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। আবার জেলার মধ্যে শীর্ষে আছে স্বরূপকাঠীর আটঘর কুডিয়ানা সহ সমুদয়কাঠী,সারেংকাঠী, বলদিয়া ও সোহাগদলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যে।
তবে সবচেয়ে কঠিন দুঃসময়ে সরকারের বদনাম কামানের জন্য বলদিয়া ইউনিয়নের বেশীরভাগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই যথেষ্ট। সরকারি আইন কানুন না মেনে গ্রাম্য রাজনীতি শুরু করে বলদিয়া ইউনিয়নের বেশীরভাগ স্থানীয় মেম্বররা চরম বিতর্কিত। গড়ে নয় ওয়ার্ডের মধ্যে মিনিমাম ১৫/২০ টি ন্যায্য মূল্যের কার্ড নিয়ে এক ধরনের লুকোচুরি খেলা খেলে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে সরকারি দলের বেশির ভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে। নাম না প্রকাশের শর্তে, প্রতিটি ইউনিয়নে অহরহ অভিযোগ তুলে ধরেন এলাকায় সাধারণ মানুষ। তবে কঠিন অভিযোগ উঠেছে, বলদিয়া ইউনিয়নের বহু মেম্বরদের বিরুদ্ধে। বাতিল হওয়া কার্ডের চাল নিয়ে বিপাকে পডেছে স্থানীয় ডিলার। সরকারি চাল বিক্রি করা দোষনীয় বিদায় বস্তায় বস্তায় ন্যায্য মূল্যের চাল পড়ে আছে দিনের পর দিন। কঠিন দুঃসময়ে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। তাই সরকারি চাল বিক্রির ঝুঁকি নিতে চায়না বলদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ডিলার সহ বহু জনপ্রতিনিধিরা। তাছাড়া গত সপ্তাহে পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়া উপজেলায় সরকারি চাউল বিক্রি করে ডিলার সহ ক্রেতা শ্রীঘরে। এ ব্যাপারে বলদিয়া ইউনিয়নের অবৈধ ভাবে কার্ডের চাল আটকিয়ে মহা বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ডিলার সহ বহু মেম্বররা। তাছাড়া এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে মেম্বরদের নুতন কার্ডের নাম এখনো চূড়ান্ত ভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। তাই পুরনো নামের কার্ডের চাল পরিষদের গোডাউনে রক্ষিত আছে বলে জানান। সর্বশেষ বহু মেম্বরদের সাথে সরকারি কথা হয় জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। আসলে মিডিয়ার সঠিক কোন প্রশ্নের জবাব দিতে হিমসিম খেয়েছে। তবে বিশেষ ১০% কর্তণের কথা অকপটে স্বীকার করেন।
Leave a Reply