দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বানারীপাড়ায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরে সেখানেও ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারছেনা একটি পরিবারের ৩ জন সদস্য। এমনই অভিযোগ করেছেন উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের বাদশা মল্লিকের স্ত্রী বিলকিস বেগম। তিনি জানান জমির ধান কাটার ৪জন কৃষকদের ১দিনের মজুরি টাকার বিনিময়ে ২ মন ধান দিলে তাদের মনপুত হয়নি। এ নিয়ে ৩০ এপ্রিল দুপুরে ইন্দ্রেরহাওলা গ্রামের মাসুদ হাওলাদারের দোকানের সামনে বসে বিলকিস বেগমের ভাসুর ও তার ছেলে এবং তার নিজের ছেলের সাথে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কা মারধরে রূপ নেয়। এতে একই এলাকার মো. আলমগীর হোসেন মল্লিক (৫০) মো.শফিকুল ইসলাম ও মো.শরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। এদেরকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানায় বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন অভিযোগ দায়ের করেন। মারধরে ধান কাটার কৃষক নাজেম উদ্দিন হাওলাদারে পুত্র জাকির হাওলাদারও (৫০) গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে বানারীপাড়া হাসপাতালে পরে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মাথায় আঘাত লাগার কারনে বর্তমানে ঢাকায় তার উন্নত চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আলমগীর হোসেন গংরা বানারীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকাবস্থায় তাদেরকে ওই খানে গিয়ে জাকিরের পক্ষ নিয়ে দূর্বৃত্তরা পুনরায় মারধরের হুমকি দিলে তারা সম্পূর্ণ চিকিৎসা সেবা না নিয়ে হাসপাতাল থেকে স্টকে পড়েন। এনিয়ে বিলকিস বেগম আরও অভিযোগ করেন তার ভাসুর ও ছেলেরা ক্যাডারদের হাতে আবারও যাতে করে মারধরের শিকার না হয় সেই ভয়ে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, হাসপাতালে এসে হুমকি দেয়ার বিষয়টি ডাত্তার এবং পুলিশকে জানানো হয়েছিলো। যেদিন তারা ভয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ওইদিন রাতেই পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এবং জাকির হোসেনের পরিবার সূত্র জানা গেছে মারধরের ঘটনায় জাকির হোসেন গুরতর আহত হন। তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমন খবর জেনেই আলমগীর হোসেন গংরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। এদিকে আলমগীর হোসেনদের বাড়িতে বর্তমানে কোন পুরুষ না থাকায় পরিবারটির বেশ কয়েকজন কিশোরী ও বৃদ্ধ মহিলারা অজানা আতঙ্কে দিনরাত কাটাচ্ছেন বলে বিলকিস বেগম দাবী করেন।
Leave a Reply