দখিনের খবর ডেস্ক।। মরণঘাতী করোনা ভাইরাসে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এই পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬১৯ জন ব্যক্তি ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৪৮ জনকে। পাশাপাশি নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল নগর ছাড়া বিভাগের ৬ জেলায় ৩৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৭ হাজার ৬১৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এরমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ৭ হাজার ১৪৫ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪৭৩ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ৩৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বিভগের ৬ জেলায় ১৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি কাউকে।
এছাড়া বিভাগে এ পর্যন্ত ১১৬ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন, এরমধ্যে ৪৩ জনকে এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত করোনা পজেটিভ শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশালে ২৪, পটুয়াখালীতে ২, পিরোজপুরে ৫, বরগুনায় ১২ ও ঝালকাঠিতে ৫ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তবে ভোলা জেলায় কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, পর্যন্ত বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে চারজন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিভাগের মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর জেলা পুরোপুরি, ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা এবং ভোলার সদর, তজুমদ্দিন ও লালমোহন কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
Leave a Reply