শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির করফায় এন জি ও রাসেল গংদের কাছে বেধম মার খেয়েছে কাঞ্চন

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির করফায় এন জি ও রাসেল গংদের কাছে বেধম মার খেয়েছে কাঞ্চন

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি: বিশ্ব সহ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও সারেংকাঠীর  এন জি ওর মালিক মোঃ রাসেল ও তার পরিবার আতংকিত নয়। বরং জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী কাঞ্চনের (৪৫)সাথে হাতাহাতি সহ বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এন জি ওর মালিক রাসেল গংদের বিরুদ্ধে।  স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত আঃ মালেকের ছেলে মোঃ আঃ শাহীন (৫৭), মতিন ও তার ছেলে তুহিন (২০) গংরা প্রতিবেশী কাঞ্চনের সাথে বহুদিন ধরে করফা এলাকায় মাত্র ৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। আর সেই সূত্র ধরেই রবিবার সকাল আনুমানিক ৮ টার সময়ে কাঞ্চন জমির বাশ কাটতে আসে স্ব পরিবারের। এ সময়ে কোন কিছু আচ করার আগেই শাহীন ও রাসেলগংরা প্রতিবাদ করে। হঠাৎ সামান্য একটা কথা নিয়ে রাসেলের বর ভাই শাহীন কাঞ্চন ও তা পরিবারকে নিয়ে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। আর মুহূর্তের মধ্যে ঘটনা স্থানে তুমুল ঝগড়াঝাটি শুরু হয়।
 এদিকে প্রতিবেশীরা কেহই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। বরং অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার কাঞ্চন ও তার পরিবার। লজ্জার বিষয় স্থানীয়  মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা না করে অমানবিক নিষ্ঠুরতার পরিচয়  দিয়ে চরম বিতর্কিত   হয়েছে এন জি ও মালিক রাসেল  ও মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ শাহীনগংরা। এ ব্যাপারে সারেংকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম জেলার গণ মাধ্যমকর্মীদের বলেন, আসলে উভয় পরিবার আপন চাচাতো ভাই। জায়গা জমির বিরোধনিয়ে বিগত সময় থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। আজকের ঘটনার বিষয়ে মিডিয়াকে বলতে কষ্ট হয় তারপরও করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও  এদের মধ্যে কোন আতঙ্ক নেই। বরং নিঃলজ্জ ভাবে মাহে রমজানের মধ্যে মারামারি করে। আসলে এটা আমাদের সকলের লজ্জা। তবে ভিন্ন কথা বললেন স্থানীয় মেম্বার মোঃ ইউনুস। তিনি বলেন, আমি ঘটনা স্থানে না গেলেও মারামারির ঘটনা শোনার পর আমি ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সহ স্থানীয় হাসপাতালে আসি। আমি উভয়ের সাথে কথা বলি। তবে ডাক্তারের ভাষ্য মতে কাঞ্চনের অবস্থা তেমন ভালো নয়। এক পা ভেঙে গেছে আর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের আলামত আছে। স্যালাইন চলছে আর আমরা সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি চিকিৎসার বিষয়ে।                                                                                 এদিকে এন জি ও মালিক রাসেলও ভর্তি হাসপাতালে। তবে স্থানীয় লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে এটা শাহীন ও তার পরিবারবারের এক ধরনের নাটক। মার খেয়ে মৃত্যুর পথযাত্রী  মোঃ কাঞ্চন। তবে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা আহত কাঞ্চন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানবিক কায়দায় মারধর করে। ভাগ্য আমার ভালো যে আমি এখনও বেচে আছি। তবে সন্ত্রাসীরা আমার সাথে যাই করুক না কেন আমার নিস্পাপ বাচ্চার সাথে দারুণ নিঃষ্ঠুর আচরণ করেন। ওকে এক পর্যায়ে ফিক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমার স্ত্রীকে আঘাত সহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার এক পা ভেঙে দিয়েছে রাসেল ও শাহীনগংরা। আমি ন্যায়ের পক্ষে বিচার চাই। তবে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা রাসেল মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হিমসিম খেয়েছে। তবে স্বীকার করেন আসলে মারামারি করা ঠিক হয়নি। সর্বশেষ তথ্য মতে, এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের মামলা বা অভিযোগ হয়নি। তবে বিগত সময়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও প্রশাসনের নখদর্পনে আছে। জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে আজকের  মারামারির সূত্রপাত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com