শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
বরগুনায় নিজ কার্যালয়ে এলজিইডির প্রকৌশলীকে মারধর

বরগুনায় নিজ কার্যালয়ে এলজিইডির প্রকৌশলীকে মারধর

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বরগুনা সদর উপজেলার এক উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের শিকার ওই প্রকৌশলী নাম মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দার তাকে মারধর করেন। তবে এ ঘটনার এখন পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ঠিকাদারের দাবি, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তাই মারধরের পর তার পা ধরে মাফ চেয়েছন তিনি। অপরদিকে, প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের দাবি, ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দার তার এলাকার বড় ভাই। কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নিজ কর্যালয়ের সামনে প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নিজ কার্যালয়ে সামনে মোটরসাইকেলে বসা ছিলেন প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। এসময় ঠিকাদার তাকে ঘুষখোর বলে গালাগাল দিতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দার তাকে মোটরসাইকেলসহ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর প্রকৌশলী মিজানুর রহমান উঠে দাঁড়ালে ঠিকাদার ফরহাদ তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা পরিষদের ও উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মীসহ সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আহমদ সোহাগ বলেন, উপজেলা পরিষদে আমাদের একটি মিটিং ছিল। মিটিং শেষ করে ভবন থেকে নামার সময় আমরা দেখি মারামারি। আমিসহ সেখানে আরও বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। পরে আমরা পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে কি নিয়ে ঘটনা ঘটেছে তা আমি জানি না। অপর প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল টিটু বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের ভবনের দ্বিতীয় তলায় দাঁড়ানো ছিলাম। তখন অফিসের সামনের রাস্তায় ঠিকাদার ফরহাদ জমাদ্দার ও প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখতে পাই। ঠিকাদার ফরহাদ প্রকৌশলী মিজানুরকে বলছিলেন- অফিসে চলেন। স্বাক্ষর করবেন আর সাইট পরিদর্শনে যেতে হবে। তখন প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন- আমি ডিসি অফিসে যাচ্ছি জরুরি কাজে। এ কথা নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। পরে আমরা কয়েকজন নিচে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ বিষয়ে ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দার বলেন, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান একজন অসৎ কর্মকর্তা। ঘুষ ছাড়া তার কলম চলে না। ঘুষের জন্য তিনি আমার জামানতের টাকা আটকে রেখেছেন। বরগুনার অনেক ঠিকাদারের টাকা তিনি আটকে রেখেছেন আবার অনেকে ঘুষ দিয়ে জামাতের টাকা পেয়েছেন। আমি ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার কাজ করবেন না। এজন্য আমি তাকে মেরেছি। পরে আবার তার পা ধরে মাফ চেয়েছি। ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে বরগুনার আমতলী পাড় এলাকায় প্রকৌশলী মিজানুর বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন বলেও জানান এই ঠিকাদার। এছাড়াও এ ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে এ প্রকৌশলী অঢেল সম্পত্তি গড়েছেন বলেও অভিযোগ এই ঠিকাদারের। এ বিষয়ে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ফরহাদ আমার এলাকার বড় ভাই। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার বিষয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বরগুনার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম। বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা সহ্য করার মতো নয়। এ বিষয়ে আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা আমি অবগত নই। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com