গলাচিপা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় গরুচোর সন্দেহে গনপিটুনিতে একই পরিবারের ছয় জন আহত হয়েছে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গলাচিপা থানা পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার আমখোলা ট্রলার ঘাটে। গণপিটুনির শিকার হাচেন খান (৭০) জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের হাচেন খান পরিবারের ১০ জন সদস্য নিয়ে গত কার্ত্তিক মাসে কলাপাড়া উপজেলার আশাখালী শুটকি পল্লীতে কাজ করতে যান। শুটকির মৌসুম শেষ হলে হাচেন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুইটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে শুক্রবার কলাপাড়া উপজেলার আশাখালী থেকে লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের গলাচিপা নদীতে পৌছলে দুইটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় গরু দেখে চোর সন্দেহে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা ডাক চিৎকার করে ধাওয়া করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দুইটি উপজেলার আমখোলা ট্রলার ঘাটে নোঙর করে। উত্তোজিত জনতা নৌকা দুইটিতে থাকা জেলেদের মারধর করে। গণপিটুনিতে হাচেন খান (৭০), শাহাবুদ্দিন (৩০), রিয়াজ (৩৮), বাহাদুর (৩৫), শহিদুল (৪০) ও সিদ্দিক (৩৫) আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গলাচিপা থানা পুলিশ গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো. কলিমুল্লাহ (৫৫), ডাকুয়া ইউনিয়নের বেল্লাল হোসেন (৩৫), মনির (২৩), সুজন মৃধাকে (২২) আটক করেছে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, এ ঘটনায় শনিবার বাহাদুর খান ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেন। গণপিটুনির ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply