নলছিটি প্রতিনিধি ॥ ‘একজনের লগে পাঁচজন আয় আর দোহানে দোহানে ঘোরে, ঠিক এমনটাই বলছিলেন নলছিটি শহরে অবস্থিত মেসার্স সততা বস্ত্রালয়ের পরিচালক রিয়াজ হোসেন, তিনি আরও বলেন ক্রেতা থাকলেও আমাদের বিক্রি নেই, বরাবরের চেয়ে এবারের বিক্রি সব থেকে কম। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বয়স প্রায় বিশ বছর তবে অতীতের ইতিহাস বলে এবারের মতো কোন বছরই বিক্রি এত পরিমান কমেনি। নলছিটি শহরে ছোট বড় সবমিলিয়ে প্রায় শতাধিক বস্ত্রবিতান রয়েছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধির প্রভাব ক্রেতা সমাগমের উপর না পরলেও ব্যবসায়ীদের বিক্রির উপর প্রভাব ঠিকই পরেছে। তবে এরজন্য অনেক বিক্রেতা লকডাউনকে দুষছেন, তাদের যুক্তি লকডাউনে মানুষের আয়ের পরিমান কমে যাওয়ায় সাধারন মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে তাদের ঈদের কেনাকাটা বিলাসিতার পর্যায়ে পরে। অনেকে একান্ত বাধ্য হয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসলেও দামের সাথে মানিয়ে নিতে পারছেন না। আবার আমাদেরও কিছু করার নেই কারন লকডাউনে পন্য সরবরাহ কম একই সাথে ঢাকা থেকে পন্য আনায় খরচও কয়েকগুন বেশি পরেছে। নলছিটি বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও রমনী বস্ত্রালয়ের পরিচালক মো. নেওয়াজ হোসাইন বলেন, বিক্রি কম হওয়ার অনেক কারন রয়েছে তবে তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রবাসীদের রেমিটেন্স কমে যাওয়া এছাড়া বেসরকারী চাকুরী যারা করেন তারা সময়মত বেতন বোনাস পাচ্ছেন না। তবে তিনি আশা করেন শেষের দুইদিন বিক্রি বাড়তে পারে। একই অবস্থা দেখা গেছে পাদুকা বিক্রির হাউজগুলোতে, রিভান সু হাউজের পরিচালক এইচএম রিভান বলেন, মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা যথেষ্ট রয়েছে তবে সে অনুযায়ী বিক্রি নেই, যদিও আমাদের বিক্রিটা হয় মূলত রমযানের শেষের পাঁচদিন কিন্তু এবছর সেরকম কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না, এখনো তিনদিন বাকি দেখি কি হয়।
Leave a Reply