নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ বঞ্চিত হচ্ছেন ৬৯ হাজার ৩শ’ ৮৩ জন মানুষ। ইতিমধ্যে যথাসময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। যদিও টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। সব শেষে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম ডোজ নেয় ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩ জন। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া। গত ৮ এপ্রিল শুরু হয় কোভিডের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৬শ’ জন। প্রথম ডোজ নেওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩ জনের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেননি ৯৮ হাজার ৭শ’ ৩জন। অথচ বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে মজুদ আছে সেরাম ইন্সটিটিউটের ২ হাজার ৯শ’ ৩২ ভায়েল টিকা। মজুদ থাকা ভায়েল দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া যাবে ২৯ হাজার ৩শ’ ২০ জনকে। সে হিসেবে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও বরিশালের ৬৯ হাজার ৩শ’ ৮৩ জন মানুষের যথা সময়ে সেরামের কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া মানুষরা। যদিও এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। তিনি বলেন, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে কোভিড টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে আশা করেন স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
Leave a Reply