স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারা দেশে চলছে মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় ভেরিয়েন্টও (ধরন)। সব মিলিয়ে দেশব্যাপী একটা আতঙ্ক ও অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছে। তবুও মানুষের তাতে যেন কোনো মাথাব্যথা নেই। থোড়াই কেয়ার করছে এসব করোনা-ফরোনা। স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসেবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কে শোনে কার কথা। আর সামাজিক দূরত্ব? সে তো এখন অতীত। হাট-বাজার, শহর-সড়ক সবখানে একই অবস্থা। শহরের কথা নয় বাদই দিলাম। গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লার দৃশ্যপটও ওই একই। বুধবার (১২ মে) সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের প্রায় সর্বত্র ঘুরে দেখা যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি। ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই। সকাল থেকে মার্কেটগুলোতে নানা বয়সের নানা বর্ণের হাজার হাজার নারী-পুরুষের ঢল নেমেছে। সড়কে ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলের যেমনি চাপ, তেমনি মানুষে মানুষে এতটা গাদাগাদি! যার ফাঁক গলিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তবে এত সব অনিয়মের মধ্যে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা বা নজরদারি চোখে পড়েনি। এত গিজগিজ অবস্থায় সবাই যেন ভুলেই গেছে মহামারি করোনার কথা। বোরখা পরিহিত কিছু নারী ব্যতীত অধিকাংশ নারী-পুরুষের মুখের মাস্ক থুতুনিতে ঠেকেছে, মাস্ক দেখাও যায়নি অনেকের মুখে। এ সময় কয়েকজন পথচারীকে মাস্ক পরেননি কেন- জিজ্ঞেস করতেই কাঁচুমাচু করতে থাকেন তারা। আর বেচাবিক্রির চাপে ব্যবসায়ীরাও ভুলে গেছেন মাস্কের কথা। করোনাভীতি নেই কারো মধ্যেই। তবে করোনার এই মহাদুর্বিপাকেও দোকানপাটে বেচাবিক্রির কমতি নেই। বরং স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে আরো ভালো। বরিশালের অভিজাত এক শপিংমলের মালিক বলেন, করোনা হলে কী হবে, মানুষের কাছে পয়সা আছে। প্রচুর কিনছে মানুষ। পটুয়াখালীর মৌসুমী কসমেটিকসের মালিক মো. লিটন তালুকদার বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রি একেবারে মন্দ না। বাজারঘাটে যেভাবে মানুষ উঠছে, আর যেভাবে কেনাকাটা করছে তাতে করোনা মনেই হচ্ছে না।
Leave a Reply