বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে সোমবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ও তাদের সহযোগিরা। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃতর মুক্তির জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এরপূর্বে রবিবার রাতে চাঁদবাজির মামলার প্রধান আসামি রিপন বিশ্বাসকে (৩৫) কাশিপুর ভূঁইয়া বাড়ি সড়ক থেকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। রিপন বিশ্বাস ওই এলাকার আব্দুর রহিম বিশ্বাসের পুত্র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর কাশিপুর বাজারে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে রিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিট তুলতো তার (রিপন) সহযোগিরা। বিট আদায় বন্ধ করতে বাসদ’র জেলা কমিটির নেতৃত্বে ইজিবাইক সংগ্রাম কমিটি গঠণ করা হয়। কমিটির উপদেষ্টা বাসদ’র জেলার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী বলেন, রিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিট বা চাঁদা দাবি করা হলে আমাদের সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্ব তাদিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এজন্য আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা এবং ইজিবাইক ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩০ মার্চ ইজিবাইক সংগ্রাম কমিটির নেতা গোলাম রসুল বাদি হয়ে রিপন বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি রিপন বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে চাঁদাবাজি এবং হামলার মামলায় রিপন বিশ্বাসকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পরলে মহানগর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা রিপন বিশ্বাসকে ছাড়িয়ে আনতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাও করেন। পরে সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু’র নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে বিকেলে পাঁচটার মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা রিপন বিশ্বাসকে ছেড়ে না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়। এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার রাজিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সমাবেশের হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, সরকার বিরোধী একটি চক্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। রিপন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়রানীর একটি অংশ মাত্র। এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, চাঁদাবাজি এবং হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভের বিষয়টি অস্বীকার করে ওসি বলেন, দলীয় কিছু লোকজন এসেছিলেন। তারা আমার সাথে কথা বলে চলে গেছেন। রিপন বিশ্বাসকে ছাড়া না ছাড়া আদালতের ব্যাপার।
Leave a Reply