রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ জমি নিয়ে বিরোধের কারণে ঝালকাঠির রাজাপুরে মো. হালিম খলিফা (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের করা হত্যা মামলায় ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলামকে। সোমবার (১৮ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের চরহাইলাকাঠি গ্রামে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। নিহত হালিম মঠবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই এলাকার মৃত মজিদ খলিফার ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই হালিম খলিফার স্ত্রী সুখী আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়। যার মামলা নম্বর-১৩। মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মন্টু খলিফা, ৩ নম্বর আসামি মন্টুর স্ত্রী শিউলি বেগম ও ৮ নম্বর আসামি সেলিম খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে মামলার ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম ওরফে সুমনকে। তিনি চরহাইলাকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া মামলার ২ নম্বর আসামি মো. তুহিন খান পেশায় একজন সেনাসদস্য। তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তার বর্তমান কর্মস্থল টাঙ্গাইল সেনানিবাস। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত হালিম খলিফা ও মামলার প্রধান আসামি মন্টু খলিফা একে অপরের আত্মীয় ও প্রতিবেশী। তাদের মধ্যে বাড়ির পাশেই আড়াই শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। হালিম খলিফার দখলে ছিল ওই জমি। বিরোধপূর্ণ এই জমি কেনার জন্য মন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন প্রতিবেশী বাবুগঞ্জ ইউএনও আমিনুল ইসলাম সুমন। এজাহারে আরও জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামি মন্টু খলিফার নেতৃত্বে আসামিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হালিম খলিফার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে ইউএনও মো. আমিনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ওখানে আমার গ্রামের বাড়ি। ওরা আমার আত্মীয়স্বজনও নয়। তাদের উভয় পরিবারের মধ্যে আগে মামলা ছিল। বাদীপক্ষ মনে করে, আমরা অপর পক্ষকে সহযোগিতা করি। এটা তাদের ভুল ধারণা। এটা ওদের নিজেদের বিষয়। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
Leave a Reply