আমতলী প্রতিনিধি ॥ আমতলীতে ইউএনও অফিসের ভিতর থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মেহগিনি গাছ বৃহস্পতিবার রাতে কেটে নিয়েছে দৃবৃত্তরা। এ ঘটনায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোববার দুপুরে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। জানাগেছে, ১৯৮২ সালে আমতলী উপজেলায় রুপান্তিত হয়। ওই সময়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত গাছ রোপন করা হয়। ওই গাছগুলো বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ মুল ফটকের ভেতরে ছিল বৃহৎ একটি মেহগনি গাছ। ওই গাছটি পরিষদের পরিবেশ ও সৌন্দর্য বর্ধন করতো। ওই গাছের ছায়ায় প্রতিদিন উপজেলা পরিষদে আসা শত শত মানুষ ছায়ায় দাঁড়িয়ে এবং বসে বিশ্রাম নিতো। বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে অফিস বন্ধ থাকায় ওই দিন রাতে একদল দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে গাছটি কেটে নিয়ে গেছে। আশপাশ এলাকায় গাছটির ডাল পালা ও পাতা পড়ে আছে। দুবৃত্তরা গাছটি কেটে নিয়ে আলামত নষ্ট করার গাছের গোড়ার গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে। গাছটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১৪-১৫ জন দুর্বৃত্ত্বরা গাছটি কেটে টম টম ভরে নিয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, দুর্বৃত্তদের ভয়ে আমরা কাছে যায়নি। আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের ভেতরের সরকারী মুল্যবান গাছ রাতের আঁধারে কেটে নেয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, বন্ধের মধ্যে দৃর্বৃত্ত্বরা উপজেলা পরিষদের মুল ফটকের ভেতরের একটি মুল্যবান মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এতে পরিষদের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন ইউএনওকে এ নিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আমার হাতে এখনো কোন অভিযোগ এসে পৌঁছেনি।
Leave a Reply