নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নলছিটিতে ৫ কসাইয়ের বিরুদ্ধে ‘আল্লাহর নামে’ রাস্তায় ছেড়ে দেয়া লক্ষাধিক টাকার একটি ষাঁড় জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন হাওলাদার বাদি হয়ে নলছিটি থানায় বুধবার বিকেলে একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ষাঁড়টি জবাইয়ের আগে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কর্তৃক পশুটি জবাইয়ের উপযোগী বলে সনদপত্র নেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে নিজ কার্যালয়ে অবস্থানকালে তিনি বলেন, ডাক্তারি ফিটনেস সনদের ছাড়াই ষাঁড়টি জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কসাই মো. উজ্জ্বল হাওলাদার, মো. লালন হাওলাদার, মো. রুহুল আমিন, মো. মামুন ও মো. বিপ্লব এলাকার গরু ও ছাগল চুরি করে জবাই দিয়ে বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে আল্লাহর নামে ছেড়ে দেয়া আনুমানিক ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ষাঁড় চুরি করে বুধবার ভোরে শহরের স্টিমারঘাট এলাকায় জবাই করে। পরে ষাঁড়টির মাথা, চামড়া ও পায়া (পা) নদীতে ফেলে দিয়ে বাজারে মাংস বিক্রি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কসাই জানান, কেউ যাত আল্লাহ নামে ছেড়ে দেয়া ওই ষাঁড়টি শনাক্ত করতে না পারে সেজন্য জবাইয়ের পর মাথা, চামড়া ও পায়া (পা) নদীতে ফেলে দেন ওই ৫ কসাই। ষাঁড়টিকে জবাই করে কেজি দরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাংস বিক্রি করেছেন তারা। নলছিটি পৌরসভার স্টাফ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওইদিন তিনটি গরু জবাইয়ে জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে সিল দেয়া হয়েছে। ষাঁড় জবাইয়ের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে কসাই উজ্জল ও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আল্লাহর নামে ছেড়ে দেয়া ষাঁড় জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন, ওইদিন মোট ৪টি গরু জবাই করা হয়। জবাইয়ের সময় নলছিটি থানার পুলিশ কনস্টেবল ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন। আমরা ক্রয় করা গরু জবাই করেছি। নলছিটির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply