মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
রোজিনার জামিন না হলে কঠোর কর্মসূচি দেবেন সাংবাদিকরা

রোজিনার জামিন না হলে কঠোর কর্মসূচি দেবেন সাংবাদিকরা

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ আগামীকাল রোববার যদি রোজিনা ইসলামের জামিন না হয় তবে সব সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক রোজিনাকে নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে। সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক আজাদ বলেন, আমি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই। বিশেষ করে সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বলেছেন রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায় বিচার পান, তারা তা দেখবেন। কিন্তু আমি তাদের কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান। কেননা জামিন যোগ্য মামলায় একটি মামলা হলো, অথচ তাকে এতটা বেগ পেতে হচ্ছে। আমি দাবি করেছিলাম একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করুন। নতুন একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু এটি অত্যন্ত হাস্যকর। কেননা যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি। আমরা চাই এ কমিটিতে সাংবাদিকরা থাকবে, সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবে, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি হবে। তিনি বলেন, তথ্য আইনে বলা হয়েছে অন্য যেকোনো আইনে যাই থাকুক না কেন এখন থেকে এটি বিধানযোগ্য। অথচ রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা হল একটি ব্রিটিশ আমলের আইনে। এটিতো প্রথম দিনই খারিজ হওয়ার কথা ছিল। শাহবাগ থানার কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের ওপর চাপ আছে, তাহলে কি আইন তার নিজের গতিতে চলছে? ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, রোজিনা আপাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হয়, তবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি ওসমান গণি বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, নারী সম্পাদক রীতা রাহাত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কারা বরণ করা বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, সিনিয়র সাংবাদিক আশীষ কুমার দে প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই। জনগণের তথ্য জনগণকে দিয়ে যদি আমরা অপরাধ করি, তবে আমরা এ অপরাধ করে যাব। আমরা বুঝে গেছি এ ন্যায় বিচারটি সহজতর হবে না। কেননা যারা বিচার করছেন তারাই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আমলারা সুপরিকল্পিতভাবে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা চাই তথ্যমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে রোজিনা ইসলামকে ছাড়িয়ে আনা হোক। তাকে সব প্রকার মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, সংবাদকর্মীদের কর্মক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকুক। তারা বলেন, জব্দ তালিকায় যেসব জিনিস দেখানো হয়েছে সেগুলো জব্দ করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অথচ এ কাজ পুলিশের। এ থেকেই বোঝা যায় যে কর্মকর্তারা তাদের ডেস্ক থেকে এসব কাগজ এনে রোজিনা ইসলামকে ফাঁসিয়েছেন। আর মামলাটা যে ভুয়া, সেটিও তথ্য প্রমাণসহ গণমাধ্যম প্রমাণ করেছে। বক্তারা বলেন, গত ২০ বছরে ‘অফিস সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ আইনে ভারতসহ উপমহাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তার সবগুলোই খারিজ করা হয়েছে। বরং সাজা হয়েছে ওই অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগে। তাহলে রোজিনা ইসলাম এখনো কারাগারে কেন! এ মন্ত্রণালয়ের একজন গাড়ি চালকের যদি কোটি কোটি টাকা থাকে তাহলে অন্য কর্মকর্তাদের কি অবস্থা তা সবাই জানেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এ প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনও এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com