আমতলী প্রতিনিধি ॥ আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান মৃধাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হাত ও পা কেটে দিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার (২১ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান মৃধাকে সঙ্গে নিয়ে মাইঠা গ্রামে অজ্ঞাত এক বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগে থেকে ওই গ্রামের সড়কে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে আজাদ ও হাসানকে ধরে শারিকখালী খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আজাদের দুই হাতের বাহু, তালু, কব্জি, দু’পায়ের হাটু, গোড়ালি কুপিয়ে কুচি কুচি করে এবং হাসানের দু’হাতের বাহু ও কব্জি কেটে সেখানে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, গুরুতর আহত আজাদের দুই হাত ও দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে কুচি কুচি করে দিয়েছে। আজাদের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তার অবস্থা সংঙ্কটজনক। অপর আহত হাসানের দু’হাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ঈদের দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কৌশলে আমার ভাগ্নে আজাদ এবং শ্রমিক লীগ নেতা হাসানকে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হাত ও পা কেটে দিয়েছে। আমি এ বর্বরতার কঠিন শাস্তি দাবি করছি। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযান চলছে, তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।