স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বিয়ের তিন মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে অর্পিতা মজুমদার (১৮) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত অর্পিতার পিতা লিটন মজুমদার বাদী হয়ে তার মেয়ের জামাতা সবুজ রায় ওরফে শৈশব রায়, শ্বশুর শৈলেন্দ্রনাথ রায়, শাশুড়ি যমুনা রায় ও প্রতিবেশী অনুপ রায়কে আসামি করে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শুক্রবার রাতেই শৈলেন্দ্রনাথ রায় ও অনুপ রায়কে তাদের আতা গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে গতকাল শনিবার পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেতলোচ গ্রামের লিটন মজুমদারের মেয়ে অর্পিতাকে স্বরূপকাঠির আতা গ্রামের শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে সবুজ রায় প্রেম করে বিয়ে করে। মেয়ের বাবা গরিব হওয়ায় বিয়েতে অমত দেয় ছেলের পরিবার। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর চাপে পুত্রবধূকে ঘরে তুলতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই অর্পিতাকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা নির্যাতন করতে থাকে। সবুজও তার স্ত্রীকে নির্যাতনে যোগ দেয়। বুধবার সকালে অর্পিতার স্বামী, শশুর ও শাশুড়ি তাকে মারধর করলে ওই রাতে অর্পিতা বিষপান করে। পরে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমান জানান, অর্পিতার বাবা চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পালাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply