বিনোদন ডেস্ক ॥ মাহির সঙ্গে স্বামী অপুর সম্পর্ক এখনো টিকে আছে? এমন প্রশ্ন নেটিজেনদের কাছে ছিল বহু আগে থেকেই। এবার যেন জবাবটা স্পষ্টই পাওয়া গেল। রবিবার দিনগত রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আলাদা পথে হাঁটার কথা জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সঙ্গে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা। আমাকে মাফ করে দিয়ো। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করব।’ স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে পাঁচ বছরের সংসারজীবনের ইতি টানছেন তিনি। মাহি অনুরোধ করেছেন, ‘বিষয়টি যতটুকু সম্মান দিয়ে উপস্থাপন করা যায়। প্লিজ, নেগেটিভ কিছু লিখবেন না!’ ফেসবুকে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হলে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই নায়িকা। তবে রবিবার দুপুরের দিকে মাহির স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপু ডিভোর্সের বিষয়টি মাহির স্ট্যাটাস থেকে জেনেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে মাহির সঙ্গে কথা বলে মন্তব্য করার সময় চান তিনি। অপুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে এখনও তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। বিচ্ছেদের আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। অপু বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের মধ্যে সমস্যা চলছে। সেটা প্রায় বছর খানেক তো হবে। এভাবে তো চলা যায় না! তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে দুইজনই বেশ আন্তরিকতা নিয়ে বিচ্ছেদ ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তবুও এই বিচ্ছেদ ঠেকাতে পারছেন না বেল মন্তব্য করেন অপু। তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদ ঠেকাতেই আমি আর মাহি চেষ্টা কম করিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বিচ্ছেদ আমাদের নিতেই হচ্ছে। আমাদের দুই পরিবার মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্লিজ কেউ বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখা করে বিষয়টি ভিন্নভাবে নিবেন না।’ অপু আরও বলেন, আমাদের সংসার আর টিকছেনা এটা সত্যি। তবে বিচ্ছেদ হলেও আমরা বন্ধু ছিলাম, আছি, থাকব।’ সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে ২০১৬ সালের ২৪ মে বিয়ে হয় মাহিয়া মাহির। অপু যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করে সিলেটে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন এখন। তাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের এবার ইতি ঘটছে দুই জনের সিদ্ধান্তেই।
Leave a Reply