ডাঃ শাহ নেওয়াজ, মির্জাগঞ্জ থেকে ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রামপুর এলাকার বেড়িবাঁধ ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চরখালী-মেন্দিয়াবাদ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চলসহ বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মাধবখালী ইউনিয়নের আর্জি দুর্গাপুর থেকে পূর্ব রামপুর পর্যন্ত ৫শত ফুট রিং বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০-১৫ সহস্রাধিক মানুষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই দমকা হাওয়া ও থেমে থেমে মৃদু বৃষ্টি হচ্ছে। শ্রীমন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুবিদখালী বাজার পানিতে প্লাবিত হয়। মির্জাগঞ্জের পায়রাকুঞ্জ ফেরীঘাট জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়ায় পল্টুনে উঠতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ফেরি ও ট্রলার যাত্রীদের। মঙ্গলবার (২৫ মে) মধ্য রাতে পায়রা নদীর স্রোতের চাপে মির্জাগঞ্জের চরখালী-রাণীপুর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে চরখালী, গোলখালী, মেন্দিয়াবাদ, তেয়ানী, রাণীপুর, দেউলী এবং মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় ২ শ’ মিটার অরক্ষিত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে আর্জি দুর্গাপুর, সন্তোষপুর, উত্তর রামপুর ও পূর্ব রামপুরসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০-১৫ সহস্রাধিক মানুষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই দমকা হাওয়া ও থেমে থেমে মৃদু বৃষ্টি হচ্ছে। শ্রীমন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুবিদখালী বাজারও প্লাবিত হয়েছে। এদিকে দমকা হাওয়া ও মৃদু বর্ষণ থেমে থেমে চলছেই। জলাবদ্ধ অবস্থা বিরাজ করলে বিশুদ্ধ জলের অভাব দেখা দিতে পারে। জল বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ চলছে। অন্যদিকে কিছুদিন আগে মহামারি ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিতে পারে আবারও, এ আশংকাও করছেন অনেকে।
Leave a Reply