নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ খেয়াঘাটে জুলুমবাজির অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ৭ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ৩০ টাকা করে। শুধু তাই নয়, রাত হলে দুই পাড়ের মানুষকে জিম্মি করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে ইজারাদার। খেয়াঘাটে টোল আদায়ের চার্ট টানানো থাকলেও তা তোয়াক্কা করছে না ঘাট ইজারাদার। আর অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় সাধারণ মানুষকে। যদিও ইজারাদার দাবি করেছে শুধু বন্যার কারণে এই দুই দিন ধরে ২০ টাকা করে নেয়ার জন্য মাঝিদের বলা হয়েছে। মাঝিরা আরও বেশি নেয় কিনা তা তার জানা নেই। জানা গেছে, শায়েস্তাবাদ খেয়াঘাটে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রতি ৭ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা ও বাইসাইকেল ১০ টাকা করে পারাপারের কথা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়মের বালাই নেই ইজারাদারের। প্রতিদিনই এ খেয়া দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। রামকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মামুন ও শাহিনসহ কয়েকজন জানান, এই খেয়াঘাটে জুলুমবাজি করা হচ্ছে। ৫ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা নিচ্ছে। আর এ অনিয়ম দেখার কেউ নেই। ইজারাদার কালাম ভয় দেখিয়ে আমাদের জিম্মি করে রাখছেন। তারা বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছিত হতে হয় কালাম বাহিনীর হাতে। ঘাটের ইজারাদার কালাম বলেন, সরকারি রেটে এই ঘাটে জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা। সেই অনুযায়ী রেটও টানানো আছে। কিন্তু বন্যার কারণে প্রায় সব ট্রলার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একটি ট্রলার দিয়ে পারাপার করানো হচ্ছে। তাই ২০ টাকা করে ভাড়া নিতে বলা হয়েছে মাঝিদের; কিন্তু তারা ৩০ টাকা নেয় কিনা তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, শায়েস্তাবাদ খেয়াঘাটের অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply