প্রতিনিধি বাউফল ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে অস্তিত্বহীন একটি মৎস্য খামারের নামে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে খামারীর মালিক ভুয়া ভাক্ত দলিল দিয়ে টাকা উঠিয়ে নেয়ায় প্রকৃত মালিকরা প্রশাসনের হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জমির প্রকৃত মালিকরা থানায় অভিযোগ দিলেও খামারের মালিক রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। জানাগেছে, অস্তিত্বহীন একটি মৎস্য খামার দেখিয়ে পরিচালকের চেকের স্বাক্ষর জাল করে এস,কে এস এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ এর নামে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলার ভরিপাশা গ্রামের সৈয়দ কামরুজ্জামান সোহেল নামে এক যুবক এস,কে,এস এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে জাল দলিল তৈরি করে মৃত্যু ব্যাক্তির নামের জমি ভুয়া লোক দাড় করে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজে ১ কোটি ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা উত্তলন করেন তিনি। যাহার চেক চলতি হিসাব নং-০০০২+০২১০০২১৬৬০ মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক প্রিন্সিপ্যাল শাখা ঢাকা। সোহেল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের সৈয়দ আঃ রাজ্জাক এর ছেলে। এ ছাড়াও সোহেলের বিরুদ্ধে একই এলাকার সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নাম পরিবর্তন করে অন্য লোক দাড় করিয়ে এস,কে এস এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ এর নামে জমির ভুয়া জাল দলিল করে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০২১ সালে ১৯ জানুয়ারী মাসে উল্লেখিত সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে কামরুজ্জামান সোহেল এর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৬। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় ভরিপাশা গ্রামে এস,কে,এস এগ্রো প্রোডাক্ট লিঃ এর নামে কোন মৎস্য খামার খুঁেজ পাওয়া যায়নি। টাকা উত্তোলনে যে জমির দলিল দেখানো হয়েছে, ওই জমিতে বর্তমান ও পূর্বে কখনও এস,কে,এস এগ্রো প্রোডাক্ট লিঃ এর কোন অস্তিত্ব ছিলনা।ওই এলাকার রফিক হোসেন বলেন, ভরিপাশা গ্রামে ওই নামে কোন মৎস্য খামার আছে বলে আমার জানা নেই। ওই মৎস্য খামারের নাম আপনার কাছেই শুনলাম। এ বিষয়ে সৈয়দ কামরুজ্জামান সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, আমি ব্যবসার খাতিলে ব্যাংকের সাথে প্রতারনা করেছি। দলিল ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যায় না তাই আমি অন্যের জমি জাল দলিল করে ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে ব্যবসা করার জন্য উক্ত টাকা উত্তোলন করে ব্যবসা না করে নিজের কাজে ব্যয় করছি। এটা আমার অন্যায় হয়েছে, তবে ব্যাংকের টাকা আস্তে, আস্তে পরিশোধ করে দিব। আর এলাকার যাদের জমি নিয়ে সমস্যা ছিল সে সমস্যাগুলোও মিটানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। বাউফল থানা অফিস ইনচার্জ (ওসি) আল-মামুন বলেন, কামরুজ্জামান সোহেল এর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply