ভোলা প্রতিনিধি ॥ নাব্যতা সংকট এবং ঝড়ের কারণে ৩ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের উভয় পাড়ে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। গতকাল শনিবার (২৯ মে) বিকেল পর্যন্ত ভোলার ইলিশা ঘাটে ৯০টি এবং মজুচৌধুরি ঘাটে আরও ৮০ পণ্যবাহী পরিবহন পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। জানা যায়, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি রুটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। ২৮ কিলোমিটারের এ রুটে বর্তমানে চারটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করেছে। ট্রাক চালকরা জানান, তাদের মধ্যে অনেকেই গড়ে ৩-৪ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছেন না। কবে যেতে পারবেন তাও তাদের জানা নেই। তাদের অভিযোগ, দৈনিক চারটি ফেরি ৮ বার করে ফেরি চলাচল করলেও জট কমছে না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটটি গুরুপ্তপূর্ণ হলেও অবহেলিত। একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। একদিকে নাব্যতা সংকট অন্যদিকে জোয়ারভাটা। এতে ৩ ঘণ্টার পথ যেতে গড়ে ৪-৫ ঘণ্টা লাগছে। ঘাটে গিয়ে জানা যায়, চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হলেও ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয় পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘ লাইনজটের সৃষ্টি হয়েছে। জট কমাতে ৮ বার করে পারাপার হলেই কিছুতেই জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা। তবে খুব দ্রুত জট কমে যাবে বলে জানিয়েছেন ভোলা ফেরিঘাটের বিআইডব্লিটিসির ম্যানেজার মো. পারভেজ খান। তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে ৩ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে ঘাটে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। তবে আমরা দ্রুত জট কমানোর চেষ্টা করছি। আশাকরি, আগামী ২ দিনের মধ্য জট কমে যাবে। তখন আর এ অবস্থা থাকবে না। অবস্থা থাকবে না।
Leave a Reply