গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ ছাত্রলীগ ও পুলিশের বাঁধার মুখে গৌরনদীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহ্দাাত বার্ষিকীর মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠান করতে পারেনি উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এম জহির উদ্দিন স্বপনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। জানাগেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমাননের ৪০তম শাহ্দাাত বার্ষিকী পালনে গৌরনদী উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে রোববার বাদ আছর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ সংলগ্ন সরকারী গৌরনদী কলেজ জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজনের জন্য শনিবার দলের পক্ষথেকে ঘোষণা দেয়া হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে কর্মসূচী পালনের জন্য উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মীরা রোববার আছরের নামাজের পূর্বে দলবেধে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে সরকারী গৌরনদী কলেজ গেটে তারা ছাত্রলীগ ও পুলিশের বাঁধার মুখে পড়েন। পরে সেখান থেকে পিছু হটে গিয়ে তারা বিএনপি নেতা মোঃ বদিউজ্জামান মিন্টুর বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। সেখানে দলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন। গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বদিউজ্জামান মিন্টু জানান, রোববার আছরের আযান হলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি গৌরনদী কলেজ জামে মসজিদে নামাজ পড়ে মিলাদ ও দোয়ার কর্মসূচী পালনের জন্য আমরা রওনা হই। কলেজে গেটে ছাত্রলীগ ও পুলিশ মহড়া দিয়ে বাঁধা দেয়ায় আমরা সেখানে যেতে পারিনি। পরে আমাদের বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করি। জনতার মেয়র খ্যাত গৌরনদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বিগত গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান জানান, শহীদ জিয়ার শাহ্াদাত বার্ষিকীর দোয়া-মিলাদের কর্মসূচীতে যোগদানের জন্য তিনি গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে পৌছলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে ধাওয়া করে। তিনি তখন দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শাহ আলম সরদার জানান, দলীয় কর্মসূচীতে যোগদানের জন্য তিনি গৌরনদী কলেজ গেটে পৌছলে ছাত্রলীগ কর্র্মীরা তাকে ধাওয়া করে। এ সময় বাসষ্ট্যান্ড নিউ সুপার মার্কেটের ভেতর থেকে তিনি দৌড়ে আত্নরক্ষা করেন। বাঁধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান দিপ বলেন, আমরা কাউকে বাঁধা দেইনি। ছাত্রলীগের অফিসটিই কলেজ গেটে। আমরা সব সময় সেখানে অবস্থান করি। আমাদের অবস্থান দেখে কেউ যদি ভয় পেয়ে কর্মসূচী পালন না করে সেখানেতো আমাদের কিছু বলার নেই। বিএনপির অভিযোগকে মনগড়া দাবি করে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বাসষ্ট্যান্ডেতো সব সময় পুলিশ থাকে। সেখানে বিএনপির কোন কর্মসূচীর কোন খবরইতো আমার জানানেই। সেখানে শুধু শুধু পুলিশকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন বুঝতে পারছিনা।
Leave a Reply