শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
কলাপাড়া পৌর শহরে নদীর পার জুড়ে চলছে দখলের প্রতিযোগীতা॥ নির্বিকার প্রশাসন

কলাপাড়া পৌর শহরে নদীর পার জুড়ে চলছে দখলের প্রতিযোগীতা॥ নির্বিকার প্রশাসন

কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়া পৌর শহরের নদী পার জুড়ে বিস্তৃত এলাকার সরকারী খাসজমি দখল করে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ স্থাপনা তুললেও কোন উদ্দ্যেগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। প্রভাবশালীদের খাস জমি দখলের প্রবনতা কোটি কোটি টাকার সরকারী জমি হাত ছাড়া হচ্ছে। কখনও কখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আই ওয়াশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দু’একটি অভিযান পরিচালিত হলেও অধিকাংশ সময় রহস্যজনক ভাবে তাদের দেখা যায় নিরব ভূমিকায়। কেননা দখল দৌরাত্ম্যে যারা জড়িত তারা কেউ চুনোপুটি নয়, তাই তাদের টিকিটিও ছুঁতে পারে না স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া পৌরশহরের বড় কলবাড়ী এলাকা থেকে ফেরীঘাট চৌরাস্তা, হ্যালি প্যাড, লঞ্চঘাট, বাদুরতলি হয়ে বালিয়াতলি খেয়াঘাট পর্যন্ত পাউবো’র কয়েক কিলোমিটার ওয়াপদা সড়কের দু’পাশে আধা পাকা কিংবা পাকা স্থাপনা তুলে প্রভাবশালীদের দখল থেকে অদ্যবধি কোন সরকারী জমি উদ্ধার করতে পারেনি পাউবো কর্তৃপক্ষ। শত কোটি টাকার এ সম্পত্তিতে প্রভাবশালীরা স্থাপনা তুলে লক্ষ লক্ষ টাকা অগ্রিম ও মাসিক হাজার হাজার টাকা ভাড়া পেলেও সিকি আধুলিও রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার এ থেকে। বছর কয়েক আগে পাউবো কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা অপসারনে দখলদারদের উচ্ছেদ নোটিশ দিলেও তাও এগোয়নি বেশীদূর। এছাড়া শহরের অভ্যন্তরে প্রভাবিত সরকারী খালের দু’পাড়ে প্রভাবশালীদের হাজার হাজার অবৈধ স্থাপনা দৃশ্যমান থাকলেও তা চোখে পড়ছেনা স্থানীয় প্রশাসনের। তবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত না করার কথা দীর্ঘদিন ধরে বলছে পৌর প্রশাসন। চিংগড়িয়া খালের দু’পাড়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করার পর স্থানীয় ভূমি প্রশাসন নোটিশ ইস্যু করে দখলদারদের। এরপর এক প্রভাবশালী কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রশাসনকে বিবাদী করে মামলা করায় আর এগোয়নি এটি। দীর্ঘবছর ধরে মামলাটি ঝুলে আছে, অদ্যবধি নিস্পত্তি হয়নি। রাষ্ট্রের সকল ভাতাদি ভোগ করার পরও রাষ্ট্রের পক্ষে রহস্যজনক ভাবে কথা বলছেনা সরকারী কৌশুলী। লঞ্চঘাট সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড় বেদখল হয়ে ভবন উত্তোলনের পর দখলদারদের নোটিশ ইস্যু করেও টিকিটিও ছটুতে পারেনি ভূমি প্রশাসন, উচ্চ আদালতের আদেশ দখলদারদের পক্ষে থাকায়। এদিকে কলাপাড়া ফেরীঘাট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে নদী পাড় পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার সরকারী খাসজমি দখল করে গত ক’দিন ধরে বেশ ক’টি স্থাপনা তুলছে ক’জন প্রভাবশালী। ঘটনাস্থলের স্থির চিত্র ধারনের পর তাদের বক্তব্য, কি হবে ফালতু ঘর নির্মানের ছবি তুলে ও লিখে, সব ম্যানেজ। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে কথা বলে শোনা যায়, তারা এ বিষয়ে অবগত নন। কেউ তাদের জানায়নি। পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা’র স্থানীয় নেট মেম্বর ও কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দীন মাননু বলেন, ’নদী, খাল দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। এটি আমরা বলে আসছি এবং এখনও এ দাবী জানাচ্ছি। নতুবা নদী কেন্দ্রিক আমাদের যে সভ্যতা রয়েছে তা হারিয়ে যাবে।’ কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, পৌরশহরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত খালের দু’পাড় দখল মুক্ত করার বিষয়টি আমার নির্বাচনী প্রচারনার অঙ্গীকার ছিল। যেকোন মূল্যেই খাল দখলদার মুক্ত করা হবে। তাতে যত বাঁধাই আসুক। পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইকবাল মেহেরাজ প্রধান প্রকৌশলী’র সাথে স্পীড বোটে বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আছেন বলে এ নিয়ে কোন বক্তব্য দেননি। কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, ’ভূমি প্রশাসন ও পাউবো থেকে যেসব দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ইতোপূর্বে নোটিশ করা হয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উচ্ছেদ পরিচালনায় কেস নথি হিসেবে তৈরী করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে উচ্ছেদ পরিচালনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত হলেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারন করা হবে। নতুন করে ফেরীঘাট এলাকায় নদীরপাড় পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় স্থাপনা তুলে অবৈধ দখল বিষয়ে তিঁনি বলেন, এটি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com