স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও আলোচনা ও সমালোচনায় উঠে এসেছে বিতর্কিত সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার মিতু। সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তার করার কারনে আলোচনায় উঠে এসেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও কোতয়ালী মডেল থানার ওসির কাছে মৌখিক অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানান। অভিযোগকারী আরও জানান, মেয়র মহোদয়ের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন লোককে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে মিতু। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা ও হামলার ভয় দেখায়। এছাড়া নানা রকম অনৈতিক কাজেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে এম এ পাসের জাল সার্টিফিকেট বৈধ বলে জমা দেওয়ার অভিযোগে বাদ পরা সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৮ জুলাই) একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী তাসমিমা আহম্মেদ বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. মারুফ আহম্মেদ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত মাকসুদা আক্তার মিতু বরিশাল নগরের শহীদ আলতাফ মেমোরিয়াল সড়ক এলাকার বাসিন্দা। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, গত ২৮ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাকসুদা আক্তার মিতু মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মিতু তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ পাসের সার্টিফিকেট জমা দেন। যা নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার বৈধ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু ৪ জুলাই ওই বৈধ আদেশের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী তাসমিমা আহম্মেদ বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন। ৫ জুলাই মিতুর দাখিল করা এমএ পাসের সার্টিফিকেট জাল উল্লেখ করে কলেজ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ায় প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রের বৈধতা বাতিল করা হয়। এদিকে সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গোটা বরিশালে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে তদবির, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন প্রকার অপরাধমুলক কাজে লিপ্ত থাকা, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময় রিক্সার টোকেন বানিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন লোককে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এসব ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার মিতু জানান, আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। আমি এ সব বিষয়ে কিছুই জানি না।
Leave a Reply