আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ আগৈলঝাড়ায় এক যুগেও প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকদের নামে বন্দোবস্ত দেয়া জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়নি বন্দোবস্ত প্রদান করা প্রশাসন। বছরের পর বছর ধর্ণা দিয়েও মালিকানা বুঝে না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেদের নামে জমি বন্দোবস্ত পাওয়া মালিকেরা তাদের মালিকানা বুঝে পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে পুণঃরায় আবেদন করেছেন। উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভুক্তভোগী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত চাষি কহিনুর বেগম, লক্ষী বালা, খালেদা বেগম, মানিক বেপারী, কাশী নাথ মুন্সি, হাকিম মোল্লা, সুরেশ বেপারী গত ৩০ মে যৌথ স্বাক্ষরিক ইউএনও বরাবরে তাদের লিখিত অভিযোগে জানান, রাজিহার ইউনিয়নের জেএল ২০, আহুতি বাটরা মৌজায় সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এসএ-১২৫৭/১নং দাগে ১০ শতাংশ করে ২০জন ভূমিহীনকে ২ একর জমি ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই বন্দোবস্ত মোকদ্দমা নং ০৩/০৮-০৯ এর মাধ্যমে সরকার তাদের অনুকুলে ৯৯ বছরের মালিকানায় বন্দোবস্ত প্রদান করেন। বন্দোবস্ত প্রদানের পরেও গত এক যুগেও ভূমির মালিকেরা তাদের নামের জমির মালিকানা বুঝে পান নি। অভিযোগকারীরা জানান, তাদের নামে জমি বন্দোবস্ত দেয়ার পরে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই জমি সরেজমিন ভূমিহীনদের দখল বুঝিয়ে দিতে গেলে জনৈক বাবুল সন্যামত গং বন্দোবস্তো প্রদান করা জমি তার নিজেদের দাবি করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর বিশ্বাসের সাথে সরেজমিনেই তাদের দাবি পেশ করেন। জমির মালিকানা বুঝে নেয়ার জন্য ভূমিহীনরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও অজ্ঞাত কারনে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস জমির মালিকানা বুঝিয়ে না নিয়ে বরং ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ফোনে ফিরে আসার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার পর থেকে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত প্রান্তিক কৃষকেরা বছর গড়িয়ে যুগ পেরোনো সময়ে ভূমি অফিসে গিয়ে ধর্ণা দিয়েও তাদের জমির মালিকানা বুঝে নিতে পারেন নি। চাষিদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারনে ভূমিহীন প্রান্তিক কৃষকেরা ওই জমি এতদিনেও তাদের মালিকানায় বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম বলেন, আমি দরখাস্ত দেখে মার্ক করে উপজেলা সহকারী ভূমি অফিসে দেয়ার পর তারা কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার পরে আমি ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply