নলছিটি প্রতিনিধি ॥ নলছিটি উপজেলার পৌরসভার শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের বেহাল দশায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে স্কুল বন্ধ। স্কুল খুললে শিক্ষার্থীরা এসে বিপাকে পড়বেন এমন আশঙ্কা শিক্ষকসহ স্থানীয়দের। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিদ্যালয়ের দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে টিনসেটের একটি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে গেছে কিন্তু সংস্কারের উদ্যোগ নেই। বিদ্যালয়ের একটি একতলা ভবন শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার হয়। ভবনটির কলামসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদের প্লাস্টারগুলো খুলে খুলে পড়ছে। করোনার পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে শিক্ষকদের। অন্য একটি ভবন সেটিও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই স্কুলের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের মতো বেহাল দশা বাংলাদেশের আর কোন বিদ্যালয়ে নেই। বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর আগে যখন খোলা ছিলো তখন আমরা আতঙ্কে ক্লাস করতাম কখন ছাদের প্লাস্টারগুলো খুলে খুলে আমাদের মাথায় পড়বে। এর চেয়ে খোলা মাঠে বসে ক্লাস করলে ভালো হতো। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। স্থানীয় বাসিন্দা আজহার আলী খান, ওহেদুজ্জামান, জলিল হাওলাদার জানান, বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন সংস্কার হয়নি। বিদ্যালয়ের যে বেহাল অবস্থা এটা নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। কারণ যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। এখন করোনার জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে খোলার পরে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় লাগবে। এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক কষ্ট সহ্য করে লেখাপড়া করেন। তার ওপর ভবনের নাজুক অবস্থা। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশাবাদী। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামাল খান বলেন, বিদ্যালয়টির যে অবস্থা এটি এখন অপসারণ করা ছাড়া আর উপায় নেই। আমাদের ঝালকাঠি নলছিটি উন্নয়নের রুপকার ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু মহোদয় যদি একটু সুদৃষ্টি দেন তাহলেই এর চেহারা পাল্টে যাবে। আমরা আশা করি তিনি আমাদের দাবি ফেলবেন না। এ এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে তিনি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নান্নু মিয়া বলেন, দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা লিখিতভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি এখন পর্যন্ত এর কোন সমাধান পাইনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. আনোয়ার আজিম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে।
Leave a Reply